রাত সাড়ে দশটা। নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভে বসে রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। হঠাৎই হোয়াটস-অ্যাপ গ্রুপে মুর্শিদাবাদের এক চিকিৎসক ‘ও পজিটিভ’ রক্ত লাগবে বলে এসএমএস পোস্ট করেন। ধর্না মঞ্চ থেকেই খোঁজ পড়ে ওই বিরল গ্রুপের। শুক্রবার রাতে খবরটা কানে যেতেই অবস্থানে বসে থাকা ডাক্তারি পড়ুয়া সন্দীপ ঘোষ উঠে দাঁড়ান— ‘‘আরে আমারই তো ও পজিটিভ।!’’ দেরি না করে ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়ে এক ইউনিট রক্ত দিয়ে আসেন। এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়া সন্দীপ বলছেন, ‘‘অবস্থানে বসে থাকার সময় জানতে পারি রক্তের প্রয়োজন। রোগীর দরকার শুনে চুপ করে থাকাতে পারিনি।’
বেলডাঙার হরেকনগরের দিলবাস বেগমের জরায়ুতে টিউমার হয়েছে। রয়েছে রক্তাল্পতাও। শুক্রবার রাতে তাঁর অস্ত্রোপচারের জন্য এক ইউনিট রক্ত লাগবে। দিলবাসের মেয়ে সার্জিনা পারভিন বলেন, ‘‘রাতে কোত্থাও রক্ত পাচ্ছিলাম না। ওই ডাক্তার না এগিয়ে এলে মা’কে বাঁচানোই হয়ত যেত না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy