চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যু হয়েছে অভিযোগকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
শনিবার দুপুরে বহরমপুরের ন-পাড়ার বাসিন্দা চাঁদনিহারা বিবি (৪৫) মারা যান। ওই ঘটনার পরেই মহিলা মেডিসিন বিভাগে ঢুকে চাঁদনিহারা বিবির আত্মীয়েরা চিকিৎসক থেকে নার্সদের উপরে চড়াও হন বলে অভিযোগ। তাঁদের বাঁচাতে গেলে বেশ কয়েকজন আয়াকে মারধর করার অভিযোগও উঠেছে ওই পরিজনদের বিরুদ্ধে। ঘটনার খবর পেয়ে অবস্থানস্থল থেকে ছুটে আসেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁরা গিয়ে মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক বিকাশ সরকারের পাশে দাঁড়ান। পরে অবশ্য পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হাসপাতালের সুপার তথা সহ-অধ্যক্ষ দেবদাস সাহা বলেন, ‘‘এক জন রোগীর মৃত্যুকে ঘিরে রোগীর বাড়ির লোকজন চিকিৎসক-সহ হাসপাতালের কর্মীদের মারতে উদ্যত হয়। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’ শনিবার সকাল ১১ টা নাগাদ শ্বাসকষ্ট নিয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন বহরমপুরের নপাড়ার চাঁদনিহারা বিবি। তাঁর আত্মীয়দের অভিযোগ, ভর্তির পর থেকে অক্সিজেন দেওয়া হয়নি, চিকিৎসা ঠিকমতো হয়নি। যার ফলে বেলা সাড়ে ১২ টা নাগাদ চাঁদনিহারার মৃত্যু হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, গাফিলতির অভিযোগ ঠিক নয়। তবে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করতে চাইলেও লোকজন রাজি হননি। পরে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়ে ময়নাতদন্ত না করে মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে চলে যান বাড়ির লোকজন। তার আগে ময়নাতদন্ত করা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ফের এক প্রস্থ বিবাদ বাধে। আত্মীয় সফিকুল ইসলাম ও রাকিব হোসেন বলছেন, ‘‘হাসপাতালে চড়াও হওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যু হয়েছে
সেটাই বলেছি।’’ চিকিৎসক বিকাশ সরকার বলছেন, ‘‘জুনিয়র ডাক্তারেরা ঠি সময়ে না এলে আমার অবস্থা পরিবহের মতো হয়ে যেত।’’এ দিকে এনআরএস ইস্যুতে এ দিনও বহির্বিভাগ বন্ধ ছিল। তবে জরুরি বিভাগ ও অন্তঃবিভাগ চালু রয়েছে। এ ছাড়া চোখ ও মেডিসিনের বহির্বিভাগ চালু ছিল। তবে জুনিয়র ডাক্তারেরা কর্মবিরতিতে থাকায় এ দিনও অচলাবস্থা কাটেনি। এ দিন মুর্শিদাবাদ জেলা চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধিদল আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দেওয়ার আর্জি জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy