প্রতীকী ছবি।
শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশে শেষ পর্যন্ত ভোটাভুটি এড়িয়ে বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সুকুমার অধিকারী। কিন্তু সর্বসম্মতিক্রমে কি ৯ কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন করা যাবে? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।
৫১ সদস্য বিশিষ্ট বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতির ৪৮ জন সদস্যই তৃণমূলের। সভাপতি সুকুমার অধিকারী, সহ-সভাপতি আসিফ আহমেদ ছাড়া ৪৬ জন সদস্যই কর্মাধ্যক্ষ পদের দাবিদার। দলের অন্দরের খবর এখন পূর্ত, কৃষি, সেচ-সহ গুরুত্বপূর্ণ কর্মাধ্যক্ষ হতে চাইছেন বাবু সেখ, ইনামুল শেখেরা। এ ছাড়াও তাঞ্জিলা খাতুনেরও নাম উঠে আসছে। পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী প্রথমে ৯টি দফতরের স্থায়ী সমিতি নির্বাচিত হবে। বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় বহরমপুর, বেলডাঙা, হরিহরপাড়ার তিন জন বিধায়ক, বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুরের তিন সাংসদ-সহ ৭৪ জন পদাধিকার বলে স্থায়ী সমিতির সদস্য। স্থায়ী সমিতির ৬৬ জন সদস্যই তৃণমূলের। বহরমপুর বিডিও রাজর্ষি নাথ বলেন, ‘‘১০ই অক্টোবর ৯টি স্থায়ী সমিতির নির্বাচন হবে তার পর প্রতিটি স্থায়ী সমিতির নেতা কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচিত হবেন।’’ আর এই নিয়েই দড়ি টানাটানি অব্যাহত। এ ব্যাপারে বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকুমার অধিকারী বলেন, ‘‘দল যাদের ঠিক করবেন তাঁকেই মেনে নেব।’’
কিন্তু সর্বজনগ্রাহ্য কর্মাধ্যক্ষ বাছতে হিমশিম খাওয়ার জোগাড় দলীয় নেতৃত্বের। দলীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, ইনামুল শেখকে সহ-সভাপতির প্রস্তাব দেওয়া হলে রাজীব হোসেন গোষ্ঠী মেনে নেয়নি। হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখের শিবিরের দাবি বেশির ভাগ কর্মাধ্যক্ষের পদ তাঁদের অনুগামীদেরই দিতে হবে। বহরমপুর মহকুমা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘‘সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই কর্মাধ্যক্ষ ঠিক করা হবে, আর একমত না হলে পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর হস্তক্ষেপ চাওয়া হবে।’’ তা হলে, এখন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ বাছতেও সেই শুভেন্দু অধিকারীই ভরসা, সেই টানাপড়েনের দড়ি জেলা পর্যবেক্ষকের আঙুলে জড়ানো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy