Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
BJP

বিজেপি নেতার ছেলেকে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

খবর পেয়ে তাপস পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশের চাপে দীপঙ্করকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় সাহেবরা।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাঁসখালি শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২০ ০৪:৫৯
Share: Save:

বিলের জমিতে মাছ চাষকে কেন্দ্র করে বিবাদের জেরে বিজেপির মণ্ডল সভাপতির ছেলেকে মারধর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের লোকজনের বিরুদ্ধে। বিজেপির ওই মণ্ডল সভাপতিকে ফোন করে হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এলাকায় দুই দলের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। যদিও বুধবার রাত পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

হাঁসখালি ও কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের সীমান্তে রানিনগর এলাকায় কয়েকশো বিঘা জুড়ে একটি বড় বিল আছে। তার মাঝখান দিয়ে চলে গিয়েছে খাল। খালটি ময়ূরহাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েতর অধীনে হলেও বাকি অংশ ব্যক্তি মালিকানাধীন। স্থানীয় সূত্রের খবর, বিজেপির ৩৭ নম্বর জেলা পরিষদ মণ্ডল সভাপতি তাপস ঘোষ এবার সেই বিল পঞ্চায়েতের কাছ থেকে লিজ় নিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি বিলের বেশ কিছুটা অংশ মালিকদের কাছ থেকে লিজ় নিয়ে মাছ চাষ করছেন। আবার সেই একই বিলের বেশ কিছুটা অংশ জমির মালিকদের কাছ থেকে লিজ় নিয়ে মাছ চাষ করছেন পাশেই কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের কৃষ্ণপুর এলাকার বাসিন্দা কয়েক জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক।

মাছ ধরা নিয়ে আগেই দুই পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তজনা তৈরি হয়েছিল। বিলের মাঝ খালের জলে নেমে আসে। আবার খালে মাছ ধরার লিজ় নিয়ে বসে আছেন তাপস। সেই জমিতে বাঁধ দেওয়া নিয়েই বিবাদ শুরু হয়। ষষ্ঠীর দিন তাপসের ছেলে দীপঙ্কর লোকজন নিয়ে বাঁধ দিয়ে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। অভিযোগ, সেই সময়ে তৃণমূলের সাহেব ঘোষ, প্রসেন ঘোষরা এসে তাকে মারধর করে মোটরবাইকে তুলে কৃষ্ণপুর এলাকায় নিয়ে যায়। দীপঙ্করের অভিযোগ, “ওরা শুন্যে গুলি চালালে আমাদের লোকজন পালিয়ে যায়। তখন ওরা আমাকে ধরে বন্দুকের বাট দিয়ে মারধর করে। তুলে নিয়ে যায়। একটা আমবাগানে আটকে রেখে দিয়েছিল।”

খবর পেয়ে তাপস পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশের চাপে দীপঙ্করকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় সাহেবরা। তাপসের অভিযোগ, “সে দিনের পরেও ওরা আমাকে ফোন করে নানা হুমকি দিচ্ছে। আমার বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে গিয়েছে।” অভিযুক্তদের অন্যতম সাহেব ঘোষের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত ভোটের গণনার সময়ে ব্যালটে ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই সাহেবের এই কাজকর্ম আবার সামনে আসায় এবং তা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হওয়ায় কিছুটা হলেও বিব্রত স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও সাহেবের দাবি, “সম্পুর্ণ মিথ্যে অভিযোগ। সামান্য ভুল বোঝাবুঝিকে বাড়িয়ে দেখানো হচ্ছে।” আর তৃণমূলের কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোষ চৌধুরীর দাবি, “এটা নেহাতই মাছ ধরা নিয়ে বিবাদ। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। আমাদের দল এ সব কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে না, যারা যুক্ত থাকে তাদেরও পাশে থাকে না।” পুলিশের আশ্বাস, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

bjp TMC Politics
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE