নিজস্ব চিত্র
তিনি এখন নব্বইয়ের দোরগোড়ায়। কিন্ত কর্মীদের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা যে এখনও অনেকটাই অটুট, তা স্পষ্ট হয়ে গেল বিজেপির সন্ধ্যামাঠপাড়ার সমাবেশে। তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করতে উঠতেই চনমনিয়ে উঠলেন মাঠে উপস্থিত কর্মীরা-সমর্থকেরা। তিনি সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের আমজনতার কাছে ‘জুলুবাবু’।
কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের সমর্থনে জয়ী হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছিলেন জুলুবাবু। কিছু দিনের জন্য রাজ্য সভাপতির দায়িত্বও সামলেছেন। বিজেপি দাবি করে, তিনি সাংসদ থাকাকালীন কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে যে উন্নয়ন হয়েছে তা অন্য কোনও সাংসদের আমলে হয়নি। জুলুবাবু নিজেও সেটা বিশ্বাস করেন। এ দিনও সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় তিনি দাবি করেন, “আমার সময়ে পাঁচ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে তা আর দেখা যায়নি।” সেই সঙ্গেই তাঁর আর্জি, তেমন উন্নয়ন ফের দেখতে চাইলে বিজেপি প্রার্থীকে জেতাতে হবে। প্রায় বাণপ্রস্থে চলে যাওয়া নব্বই ছুঁই-ছুঁই নেতাকে কেন আনা হল এই জনসভায়? দলের জেলা নেতাদের একাংশের দাবি, ভোটের আগে কর্মীদের চাঙ্গা করতে জুলুবাবুকে খুবই প্রয়োজন। তিনি সামনে এসে দাঁড়ালে এখনও কর্মীরা মনে বল পান। দলের নদিয়া উত্তর জেলা সাংবিধানিক সভাপতি মহাদেব সরকার বরাবরই তাঁর অনুগামী বলে পরিচিত। মহাদেব সভাপতি হওয়ার পরে তিনি জেলা কার্যালয়ে এসেওছিলেন। দলীয় সূত্রের দাবি, তাঁরই অনুরোধে আইন অমান্য কর্মসূচিতেও এসেছিলেন জুলুবাবু।
বিজেপির অন্তর্দলীয় সমীকরণে এই লোকসভা নির্বাচন মহাদেবের কাছে বড় পরীক্ষা। এই ভোটের উপরেই তাঁর ভবিষ্যৎ অনেকখানি নির্ভর করছে। আর সেই কারণে সমস্ত অস্ত্র ব্যবহার করতে চাইছেন মহাদেব। জুলুবাবুকে নিয়ে আসা হচ্ছে বিভিন্ন সভা-সমিতিতে। মহাদেবের কথায়, “জুলুবাবু আমাদের অভিভাবক। তাঁর আশীর্বাদ আমাদের প্রয়োজন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy