Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

নবদ্বীপে দিলীপের সামনেই কোন্দল বিজেপির

সাংগঠনিক কাজে শনিবার নদিয়ায় গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবার চাকদহ, মায়াপুরে দলীয় কার্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক সেরে মায়াপুরের ইস্কন মন্দিরে রাতে থাকেন দিলীপ।

দিলীপকে অভ্যর্থনা। নিজস্ব চিত্র

দিলীপকে অভ্যর্থনা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
নবদ্বীপ শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৮ ০২:২১
Share: Save:

হাতের কাছে রাজ্য সভাপতিকে পেয়ে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপির যুব মোর্চার নদিয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক। ফের প্রকাশ্যে এল নদিয়া জেলায় বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব।

সাংগঠনিক কাজে শনিবার নদিয়ায় গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবার চাকদহ, মায়াপুরে দলীয় কার্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক সেরে মায়াপুরের ইস্কন মন্দিরে রাতে থাকেন দিলীপ। রবিবার সকালে মায়াপুর থেকে সড়ক পথে গৌরাঙ্গ সেতু হয়ে নবদ্বীপ ছুঁয়ে কালনা চলে যান তিনি। এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ নবদ্বীপ রেলগেট অতিক্রম করে যাওয়ার সময়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে নবদ্বীপ দক্ষিণাঞ্চলের দলীয় কার্যালয়ের সামনে অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। অল্প কয়েক মিনিটের জন্য গাড়ি থেকে নেমে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন দিলীপ। তখনই তাঁর কাছে নদিয়া জেলা সভাপতি মহাদেব সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান বিজেপির যুব মোর্চার নদিয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক নবীন চক্রবর্তী। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের সঙ্গে গোপন আঁতাঁত রয়েছে মহাদেবের।

নবীন বলেন, “গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের হিংস্র আক্রমণের মুখেও নদিয়ায় ভাল ফল করেছে বিজেপি। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য দলের বর্তমান সভাপতি মহাদেব সরকার কৌশল করে জেলার যোগ্য কার্যকর্তাদের সরিয়ে দিচ্ছেন। তৃণমূলের সঙ্গে গোপন আঁতাঁত করে অর্থ সংগ্রহ করছেন।’’ যদিও বিজেপির মতো ‘সংগঠিত শক্তি’কে কোনও ভাবেই ভাঙা যাবে না বলে দাবি নবীনের। তাঁর মতে, মহাদেবের মতো কেউ কেউ ব্যক্তিগত ভাবে দলের ক্ষতি করছেন। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সভাপতিকে আমরা জানিয়েছি জেলার একটা বড় অংশ এ নিয়ে ক্ষুব্ধ। এক জন অযোগ্য লোককে সভাপতি করায় নদিয়া জেলায় সংগঠন টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে। রাজ্য নেতৃত্ব এ বিষয়ে নজর দিক।”

দিলীপ অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। অন্য দিকে, মহাদেব যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘কথা তো বলবে রেকর্ড। তৃণমূলের নজিরবিহীন সন্ত্রাসের মধ্যেও ১১১৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে প্রার্থী দিয়ে ৫৫৬টি আসন জিতেছে দল। এত ভাল ফল বিজেপি কোনও দিন করেনি।’’ তিনি জানান, লোকসভা ভোটের আগে দলে গতি আনতে একাধিক মণ্ডল সভাপতির পদে রদবদল হয়েছে। তা মানতে কারও কারও অসুবিধা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE