Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

আসন ধরেই রাখল বিজেপি

২০টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের ছিল সাতটি, বিজেপির ছিল ন’টি আর নির্দল প্রার্থীদের ছিল চারটি আসন। বেশ কয়েক দিন ধরেই তৃণমূলের নেতারা মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন, চার নির্দলকে নিজেদের দিকে টানতে। উল্টো দিকে বিজেপি চেষ্টা করে গিয়েছে, নিজেদের ঘুঁটি বাঁচিয়ে রাখতে। 

ভাণ্ডারখোলায় তাপ জুড়োচ্ছেন বিজেপি সমর্থক। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য

ভাণ্ডারখোলায় তাপ জুড়োচ্ছেন বিজেপি সমর্থক। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৮ ০২:৫৪
Share: Save:

বিজেপি কর্মীদের শরীরী ভাষাই বলে দিচ্ছিল, যেমন করেই হোক তারা ভাণ্ডারখোলা গ্রাম পঞ্চায়েত দখলে রাখতে চান।

নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেই দেখা যায়, লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডি। ন’টি আসনে জয়ী বিজেপি, আর আটটিতে তৃণমূল। সেই দিন থেকে তৃণমূলের নেতারা চাইছিলে, যে ভাবেই হোক এই এক আসনের ব্যবধান মুছে ফেলতে। বিজেপির অভিযোগ ছিল, তাদের সদস্যদের হুমকির দেওয়া হচ্ছে, নানা রকম লোভও দেখানো হচ্ছে। কিন্তু তার পরেও দলভারী করতে পারেনি তৃণমূল। শেষ পর্যন্ত বোর্ড গঠন করেছে বিজেপিই।

শুক্রবার জেলার ৩২টি গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ জায়গাতেই ছিল টানটান উত্তেজনা। যেখানেই বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল, তার কোনও জায়গাতেই যাতে তৃণমূল ছলে-বলে-কৌশলে বোর্ড দখল করতে না পারে, তার জন্য মরিয়া ছিল পদ্ম-শিবির। কৃষ্ণগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতটি ত্রিশঙ্কু হয়ে ছিল। ২০টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের ছিল সাতটি, বিজেপির ছিল ন’টি আর নির্দল প্রার্থীদের ছিল চারটি আসন। বেশ কয়েক দিন ধরেই তৃণমূলের নেতারা মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন, চার নির্দলকে নিজেদের দিকে টানতে। উল্টো দিকে বিজেপি চেষ্টা করে গিয়েছে, নিজেদের ঘুঁটি বাঁচিয়ে রাখতে।

দিনের শেষে হাসিটা অবশ্য চওড়া হল বিজেপিরই। কৃষ্ণগঞ্জে তৃণমূলকে সমর্থন করেন তিন নির্দল প্রার্থী, বিজেপিকে এক জন। ফলে দুই পক্ষেরই ১০-১০ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত টসে জিতে যায় বিজেপি। এখানেও দলীয় পতাকা নিয়ে কার্যত ‘রণং দেহি’ ভঙ্গিতে জমায়েত হতে দেখা যায় বিজেপি কর্মীদের। অন্য দিকে নাকাশিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতও দখল করেছে তারাও। সেখানেও তাদের মরিয়া ভাবভঙ্গি ছিল নজর কাড়ার মতো।

এ সবের মধ্যেই সংরক্ষণের গেরোয় ভাগ্য খুলেছে অনেকের। যেমন বেতাই-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও তাদের তফসিলি জাতির সদস্য না থাকায় প্রধান করা হয়েছে তৃণমূল সদস্যকে। রানাঘাট-১ ব্লকের তারাপুর পঞ্চায়েতে একই ভাবে তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও তাদের ‘অন্য পশ্চাৎপদ জাতি’র সদস্য না থাকায় উপপ্রধানের পদ পেয়েছেন কংগ্রেস। মায়াপুরে বামুনপুকুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতেও তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও তাদের তফসিলি মহিলা সদস্য না থাকায় উপপ্রধান বিজেপির। আজ, শনিবারও এই ভাঙাগড়া জারি থাকছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE