বিক্ষোভ: প্রতিবাদে চাকদহে রেল অবরোধ। নিজস্ব চিত্র
গভীর রাতে বোমা পড়ল চাকদহের পুরপ্রধানের বাড়িতে। গুলি চলে বলে অভিযোগ। আর তার জেরে শুক্রবার সকালে রেল অবরোধ হল চাকদহ স্টেশনে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে চাকদহ শহরের কেবিএম এলাকায় পুরপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা দীপক চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে ঘটনাটি ঘটে। কেউ হতাহত হননি। কারা এই ঘটনা ঘটাল, তা-ও স্পষ্ট নয়। ঘটনাস্থল থেকে ফাটা বোমার টিনের কোটো, জালকাঠি পেয়েছে তারা। শুক্রবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুরপ্রধান তাঁর অভিযোগে নির্দিষ্ট নামও দেননি।
ঘটনার প্রতিবাদে এবং দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে চাকদহে রেল অবরোধ করেন এলাকার মানুষ। আধ ঘণ্টার কিছু বেশি সময় ধরে অবরোধ চলে। পুরপ্রধানও অবধোকারীদের রেললাইন থেকে সরে যেতে বলেন। ওই সময়ে রানাঘাট-শিয়ালদহ শাখায় ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়। কয়েকটি ট্রেন অনিয়মিত ভাবে চলাচল করেছে বলে রেল সূত্রে জানানো হয়েছে।
দুপুরে চাকদহ থানায় লিখিত অভিযোগ জানান পুরপ্রধান। সন্ধ্যায় চাকদহ শহরে ধিক্কার মিছিল বার করেছে তৃণমূল। পুলিশ সুত্রে জানানো হয়েছে, কারা পুরপ্রধানের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছুড়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। হামলাকারীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
ওই দিন রাত ১২টা নাগাদ পোষা কুকুরকে নিয়ে বেরিয়েছিলেন পুরপ্রধান। পুলিশকে তিনি জানান, একটি স্কুটিতে তিন যুবক তাঁর বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে চলে যায়। তাদের এক জন পুরপ্রধানকে দেখিয়ে কিছু একটা বলে। কিছু সময়ের মধ্যে তারা ফিরে এসে তিনটি বোমা এবং একটি গুলি ছোড়ে। বোমা বাড়ির সামনের গ্রিলের দরজার পিলারে লেগে ফেটে যায়। সকালেও সেখানে দাগ দেখা গিয়েছে। একটি গুলি বারান্দার কাচে গিয়ে লাগে। কাচের খানিকটা ভেঙে গিয়েছে। পুরপ্রধান জানান, বোমা পড়তেই তিনি দৌড়ে ঘরের মধ্যে ঢুকে যান। হামলা চালিয়ে ওই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। বোমার শব্দে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। খবর পেয়ে পুলিশও আসে।
তবে পুরপ্রধানের অনুমান, “এটা সমাজবিরোধীদের কাজ। এই তিন জনকে আমি চিনতে পারিনি। ওরা স্কুটি নিয়ে এসে আমাকে লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়।’’ তাঁর মতে, ‘‘পুলিশ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন না করাতেই দুষ্কৃতীরা এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠছে। এক শ্রেণির পুলিশ রাজ্য সরকােরর কাজকর্মকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে।” জেলা পুলিশের এক আধিকারিক অবশ্য দাবি করেন, চাকদহ শহরে দুষ্কৃতীদের ধরতে ধারাবাহিক অভিযান হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy