উদ্ধার হওয়া বোমা। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল বোমা। চাপড়ার এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
শুধু বিজেপি এ ব্যাপারে অভিযোগে সরব হয়েছে তা-ই নয় শাসকদলেরই একাংশের দাবি, নিজের দলের কিছু লোকেদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য প্রধান নিজেই বোমা মজুত রেখেছিলেন নিজের বাড়িতে। যদিও এই অভিযোগ মানতে চাননি তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্ব।
মঙ্গলবার সকালে চাপড়া থানায় খবর আসে যে, হাতিশালা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মাসুদুল শেখের বাড়ির শৌচালয়ের ছাদে বস্তার ভিতরে বোমা রাখা আছে। প্রধান নিজেও থানায় ফোন করে সে কথা জানান। পুলিশ সেখানে গিয়ে দু’টি নাইলনের থলির ভিতরে ১৬টি তাজা পেটো বোমা পায়। খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডকে। মাসুদুল শেখ ব্লক সভাপতি জেবের শেখের অনুগামী। তাঁর দাবি, “বোমার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমাকে ফাঁসানের জন্য কেউ বোমা রেখে গিয়েছে। তদন্ত করে দেখুক পুলিশ।”
প্রধানের গ্রাম মহেশনগরে বোমা উদ্ধার এই প্রথম নয়। আগেও এমন হয়েছে। এই গ্রামে পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলও প্রবল আকার নিয়েছে। ব্লক সভাপতি জেবের শেখের গোষ্ঠীর সঙ্গে বিধায়ক রুকবানুর রহমানের গোষ্ঠীর বারে বারে সংঘর্ষ বেঁধেছে। বোমা পড়েছে। গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য জেবের শেখ-পন্থী মতিম শেখ ও এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রুকবানুর-পন্থী আসফল বিশ্বাস এলাকা ছাড়া।
বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার সংবাদমাধ্যমের আহ্বায়ক সন্দীপ মজুমদার বলছেন, “গোটা রাজ্য জুড়েই অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল। প্রধান নিজেই বোমা মজুত রেখেছিলেন আমাদের কর্মীদের উপরে ব্যবহার করবেন বলে।”
যদিও এ কথা মানতে নারাজ রুকবানুর-গোষ্ঠী। তাঁরা মনে করছেন, আসলে তাঁদের উপরে ব্যবহারের জন্যই ওই বোমা মজুত রাখা হয়েছিল। রুকবানুর দাবি করেন, “চাপড়ার পরিবেশকে যাঁরা অশান্ত করতে চাইছে তাঁদের পাশে আমরা নেই।” আর জেবের শেখ বলছেন, “পুলিশ খুঁজে বের করুক প্রধানকে ফাঁসানোর জন্য তাঁর বাড়ি কে বা কারা বোমা রেখে এসেছিল।” নিজস্ব চিত্র
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy