নিজের জমিতে সখিনা। নিজস্ব চিত্র
তাঁকে নিজেদের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলেন। এ বার সখিনা বিবিকে নিজেদের টাকায় বাড়ি তৈরি করতে জমিও কিনে দিলেন হরিহরপাড়ার চোঁয়া গ্রামের সেই ব্রাহ্মণ দম্পতি।
প্রসঙ্গত, সখিনা এবং তাঁর দুই সন্তান নিরাশ্রয় হয়ে যাওয়ার পর তাঁদের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলেন চোঁয়া গ্রামের সুভাষ রায়চৌধুরী এবং তাঁর স্ত্রী ইলা। গ্রামবাসীদের একাংশের ‘চোখরাঙানি’ উপেক্ষা করে প্রায় ১৫ মাস ধরে ওই তিন জিনকে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে রেখেছেন ওই দম্পতি। এক মুসলিম মহিলাকে আশ্রয় দেওয়ায় কার্যত ধোপা-নাপিত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল রায়চৌধুরী পরিবারের। এমনকি, নিজের এলাকায় তাঁর যজমানিও বন্ধ হয়ে যায়। তবে কোনও কিছুতেই পিছু হটেননি ওই দম্পতি। এ বার বিভিন্ন ব্যক্তির দানের সঞ্চিত অর্থ এক জায়গায় করে সখিনাকে দু’শতক জমিও কিনে দিলেন সুভাষবাবু। নিজের বাড়ির পাশেই সখিনার জন্য ওই জমিটি বাছা হয়েছে।শনিবার সকালে বাড়ির উঠোনে বসে ইলাদেবী বললেন, ‘‘খবরের কাগজে দেখে অনেকেই আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এক সহৃদয় ব্যক্তি আমাদের সঙ্গেযোগাযোগ করে প্রায় এক লক্ষ টাকা সখিনাকে দিয়েছেন। আরও কয়েক জনের জানের টাকা মিলিয়ে দেড় লক্ষ টাকায় ওই জমি কেনা হয়েছে।’’ সখিনা এদিন বলেন, ‘‘ওঁরা (সুভাষের পরিবার) সব কষ্ট উপেক্ষা করে আমাকে আগলে রেখেছেন। এ বার আমার মাথা গোঁজার পাকাপাকি জায়গাও করে দিলেন। সবকিছুই স্বপ্ন বলে মনে হচ্ছে।’’ তবে সখিনার বান্ধবী কাকলি রায়চৌধুরী এদিন মনে করিয়ে দেন, ‘‘জমি তো হল। এ বার সরকার যদি ওকে মাথা গোঁজার একটা ঠাঁই করে দেয়।’’ হরিহরপাড়ার বিডিও পূর্ণেন্দু স্যানালের আশ্বাস, ‘‘বাংলা আবাস যোজনায় যাতে সখিনা ঘর পান, সেই ব্যবস্থা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy