রুট মার্চ। করিমপুরে। নিজস্ব চিত্র
তেহট্টের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শান্তনু সেনের নেতৃত্বে সোমবার করিমপুরের বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন গ্রামের রাস্তায় রুট মার্চ করল কেন্দ্রীয় বাহিনী। রবিবার রাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছয় করিমপুরে।
এ দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা গ্রামের পুরুষ ও মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং নিশ্চিন্তে ভোট দেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। মহকুমা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও অবধি এলাকার চারটি থানা— করিমপুর, হোগলবেড়িয়া, মুরুটিয়া এবং থানারপাড়া এলাকায় মোট পাঁচ কোম্পানি আধা সেনা এসে পৌঁছেছে। এখন প্রতি দিন বিভিন্ন গ্রামে রুট মার্চ চলবে। ভোটের আগে আরও আধাসেনা এসে পৌঁছবে এলাকায়।
আধা সেনার প্রসঙ্গ টেনে এ দিন তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। গত পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও ভোট লুঠের অভিযোগ তুলেছিল বিরোধী দলগুলি। এ বার সেই সন্ত্রাস ও ভোট লুঠের পুনরাবৃত্তি হতে দেবেন না বলে দাবি করেছেন দিলীপ। করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারের সমর্থনে ভোট প্রচারে এসে সোমবার মুরুটিয়ার বালিয়াডাঙা স্কুল মাঠে তিনি বলেন, ‘‘এবার তৃণমূল যদি মনে করে, তারা বহিরাগতদের নিয়ে এসে নিজেদের মতো করে ভোট করাবে, তা আর হবে না।’’
তবে এ দিন জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে অনেকটাই সুর নরম করলেন দিলীপ। তিনি বলেন, “আমরা এ দেশের হিন্দু-মুসলিম সকলেই একসঙ্গে বসবাস করব। সে ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে কোনও মতভেদ নেই। বিজেপি চায় না দেশের কোনও নাগরিক সমস্যার মধ্যে পড়ুক। পাশাপাশি তিনি জানান, প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। করিমপুরের জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ মুসলিম। সে কথা মাথায় রেখেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুর নরম করেছেন বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিদের একাংশ। তবে একইসঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘‘কিন্তু অবৈধভাবে যারা অনুপ্রবেশ করেছে, তাদের তাড়ানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy