Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

পরীক্ষার পরে এল অ্যাডমিট

পুরসভায় কর্মী নিয়োগের পরীক্ষার পরের দিন কিছু পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ড হাতে পাওয়ার ঘটনা ঘিরে জট কাটল না।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শান্তিপুর শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৮ ০০:৪২
Share: Save:

পুরসভায় কর্মী নিয়োগের পরীক্ষার পরের দিন কিছু পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ড হাতে পাওয়ার ঘটনা ঘিরে জট কাটল না। সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত এ নিয়ে শান্তিপুর পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখান বেশ কিছু পরীক্ষার্থী। তাঁদের দাবি ছিল, পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নিতে হবে। মঙ্গলবার পুরপ্রধান অজয় দে অবশ্য জানিয়েছেন, পরীক্ষা বাতিল করার ক্ষমতা তাঁর নেই।

কয়েক মাস আগে শান্তিপুর পুরসভার পাঁচটি পদে কর্মী নিয়োগের পরীক্ষা হয়। পরে আরও পাঁচটি পদে কর্মী নিয়োগের জন্য অগস্টের শেষ দিকে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যার মধ্যে পুরসভা পরিচালিত প্রাথমিক স্কুলের সহকারী শিক্ষক থেকে নানা পুরকর্মী পদে নিয়োগের কথা ছিল। কিন্তু পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির হার কম থাকায় পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সিলেকশন কমিটি।

৩০ সেপ্টেম্বর, রবিবার পরীক্ষার দিন স্থির হয়। পুরসভার ওয়েবসাইট থেকে যে অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করা যাবে তা-ও স্পষ্ট ভাবে উল্লিখিত ছিল। একাধিক পরিক্ষার্থীর অভিযোগ, সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য আবেদন করলেও পরীক্ষার পরের দিন অর্থাৎ সোমবার তাঁরা অ্যাডমিট কার্ড হাতে পেয়েছেন। এর পর তাঁরা পুরসভায় অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। পুরপ্রধানের সঙ্গে দেখা করে একটি অভিযোগও জমা দেন তাঁরা।

পুরসভা সুত্রে জানা গিয়েছে, সিলেকশন কমিটিই এই নিয়োগের পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। সেই কমিটিতে পুরপ্রধান, উপপুরপ্রধান, কাউন্সিলার, জেলাশাসকের প্রতিনিধি ছাড়াও পুর দফতরের প্রতিনিধিও থাকেন। একটি বেসরকারি সংস্থাকে এই পরীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়। অ্যাডমিট কার্ড পাঠানো থেকে শুরু করে পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি করা বা খাতা দেখা সবই তাঁরা করেন। পুরপ্রধান বলেন, “যাঁরা আমার কাছে অ্যাডমিট কার্ড দেরিতে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন, তাঁদের আমি আবেদন জমা দিতে বলেছি। অনেকে দিয়েছেন। তার পরেও কেন বিক্ষোভ জানি না। পরীক্ষা বাতিলের ক্ষমতা আমার নেই, সিদ্ধান্ত সিলেকশন কমিটি নেবে।”

বিক্ষোভের পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল বলে দাবি পুরপ্রধানের। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে বিক্ষোভ করানো হল। পরীক্ষার্থীদের তুলনায় বহিরাগত বেশি ছিলেন।” শান্তিপুরে বিধায়ক ও পুরপ্রধানের শিবিরের ঠান্ডা লড়াই চলছে অনেক দিন ধরে। এই ঘটনা তারই ফল কি না সেই প্রশ্ন উঠছে দলের অন্দরেই। যদিও এ দিন ফোন ধরেননি শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য। পুরসভার কাউন্সিলর এবং সিপিএমের শান্তিপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক সৌমেন মাহাতো বলেন, “দেখেশুনে তো মনে হচ্ছে, পুরসভার উদ্দেশ্য মহৎ ছিল না। সব পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারুন, তা ওঁরা চাননি। পুনরায় পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হোক।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE