ব্লক অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে বছর সত্তর ছুঁই ছুঁই এক বৃদ্ধ বলেন, “বাঁচলাম। এ বার আর ব্লক অফিসে যাওয়ার জন্য একগাদা টাকা খরচ করতে হবে না।’’
চাকদহ ব্লক ভেঙ্গে কল্যাণী ব্লক তৈরি হওয়ায় এ ভাবেই খুশি বিভিন্ন গ্রামের মানুষ। তাঁদের চোখেমুখে তার স্পষ্ট ছাপ।
অবিভক্ত চাকদহ ব্লকের ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে চাকদহ ব্লক এবং ৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে কল্যাণী ব্লক তৈরি হয়েছে।
শুক্রবার চাকদহ ব্লক অফিসে নব গঠিত কল্যাণী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং সহ সভাপতি নির্বাচন হয়েছে। সেখানকার ১৮ জন সদস্য এ দিন মদনপুরের সুনন্দা দুর্লভ পাণ্ডেকে সভাপতি এবং শিমুরালির সুনন্দা রায়কে সহ-সভাপতি নির্বাচন করেছেন।
গত সোমবার দ্বিতীয়বার ২৯ আসন বিশিষ্ট চাকদহ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হয়েছেন হরপ্রসাদ হালদার এবং সহ-সভাপতি হয়েছেন দিলীপ সরকার। হরপ্রসাদবাবু বলেন, “অবিভক্ত চাকদহ ব্লকের বিভিন্ন জায়গার মানুষ আমার কাছে এসে অভিযোগ জানাতেন, তাঁদের এখানে আসতে অসুবিধা হয়। এখানে কাজে এলে তাঁদের সারা দিন কেটে যেত। এ ছাড়াও, বড় ব্লক হওয়ার কারণে কাজ করতে অসুবিধা হত।”
এক সময় ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে ছিল চাকদহ ব্লক। দূরদূরান্ত থেকে মানুষকে চাকদহের কামালপুরে ব্লক অফিসে আসতে হত। সারাদিন কেটে যেত। বছর তিনেক আগে চাকদহের প্রগতি সঙ্ঘের মাঠে জল প্রকল্পের উদ্বোধন করতে এসেছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সেখানেই চাকদহ ব্লককে ভাগ করার দাবি তোলেন চাকদহ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হরপ্রসাদ হালদার। কার্যত সে দিন থেকেই চাকদহ ব্লক ভাগের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
প্রথমে ঠিক হয়েছিল, বিধানসভা ভিত্তিক ব্লক ভাগ হবে। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে নতুন করে সমস্যা দেখা দেয়। ওই দুই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ আন্দোলন শুরু করেন। পরে প্রশাসন তাঁদের দাবি মেনে নেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy