আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন। শান্তিপুরে, শনিবার। নিজস্ব চিত্র।
প্রশাসনিক নির্দেশিকা অমান্য করে উচ্চস্বরে ডিজে বক্স বাজিয়ে রাসের বিসর্জনের শোভাযাত্রার নিয়ে যাচ্ছিলেন গ্রামবাসীরা। মাঝপথে তা দেখতে পেয়ে আটকায় পুলিশ। খুলে দেওয়া হয় বক্সের সংযোগ। তাতেই খেপে ওঠেন শোভাযাত্রাকারীদের একাংশ। শুক্রবার রাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শান্তিপুরের ঘোড়ালিয়া এলাকা। রাস্তার উপরে প্রতিমা নামিয়ে রেখে টায়ার জ্বালিয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় গ্রামবাসীদের একাংশ।
করোনার আবহে এ বছর বিভিন্ন পুজো কমিটিকে শোভাযাত্রার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছিল পুলিশ প্রশাসন। শান্তিপুরের রাসের শোভাযাত্রাও এই বছর হয়নি। শুক্রবার রাতে শান্তিপুর শহরের অদূরেই শান্তিপুর থানার বেলগড়িয়া ২ পঞ্চায়েতের ঘোড়ালিয়া এলাকায় কিন্তু নির্দেশ অমান্য করে জাতীয় সড়কে শোভাযাত্রা বের হয়। দুটি রাসের প্রতিমা নিয়ে দুটি শোভাযাত্রা দেখা যায়।
বেলগড়িয়া ২ পঞ্চায়েতের খাপড়াডাঙা এবং নতুনপাড়ার দিক থেকে শোভাযাত্রা দু’টি যাচ্ছিল শান্তিপুর শহরের দিকে। তীব্রস্বরে বাজতে থাকা ডিজে বক্সের সঙ্গে উন্মত্তের মতো নাচছিলেন বহু পুরুষ-মহিলা। তা দেখেই ঘোড়ালিয়ার কাছে শোভাযাত্রা আটকে দেয় পুলিশ। বক্সের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এতেই ক্ষুব্ধ শোভাযাত্রাকারীরা প্রতিমা নামিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ শুরু করেন। তাঁরা দাবি করতে থাকেন, ক্ষমা চাইতে হবে পুলিশকে। প্রায় মিনিট কুড়ি অবরোধ চলে। বিরাট পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের কিছুটা বচসাও বাধে। পরে অবরোধ উঠে যায়।
করোনার মধ্যে দায়িত্বজ্ঞানের পরিচয় দেওয়ার বদলে অবিবচকের মতো আচরণ দেখানোয় অনেকেই অবশ্য অবরোধকারীদের সমালোচনা করেছেন। নিজেরা অন্যায় করে উল্টে পুলিশকে ক্ষমা চাইতে বলার মধ্যে অনেকেই উদ্ধত, অসংযত আচরণ দেখতে পেয়েছেন।
রানাঘাটের পুলিশ সুপার ভিএসআর অনন্তনাগ বলেন, “সকলকেই বিধি মানতে বলা হয়েছিল। এ দিনের ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy