Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

গৌরাঙ্গ খুনে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার

দলীয় কাজ সেরে মোটরবাইকে বাড়ি ফেরার সময় তৃণমূল নেতা গৌরাঙ্গ মণ্ডলকে (৪০) খুব কাছ থেকে তিন-তিনটে গুলি ফুঁড়ে খুন করে চম্পট দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার রাতে কান্দির মাধুনিয়া ও রুদ্রবাটি গ্রামের মাঝে ফাঁকা মাঠের মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল গৌরাঙ্গের রক্তাক্ত দেহ। সে রাতেই অভিযোগের তির ঘুরে গিয়েছিল যার দিকে, পেশায় সে কান্দি থানার সিভিক ভলান্টিয়ার। বুধবার, পাশের গ্রামে মারুরো থেকে সুখেন পাল নামে ওই যুবককে ধরে পুলিশ।

—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

কৌশিক সাহা
কান্দি শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৯ ০২:৪৩
Share: Save:

শাসক দলের নেতা খুনে শেষতক গ্রেফতার হল এক সিভিক ভলান্টিয়ার।

দলীয় কাজ সেরে মোটরবাইকে বাড়ি ফেরার সময় তৃণমূল নেতা গৌরাঙ্গ মণ্ডলকে (৪০) খুব কাছ থেকে তিন-তিনটে গুলি ফুঁড়ে খুন করে চম্পট দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার রাতে কান্দির মাধুনিয়া ও রুদ্রবাটি গ্রামের মাঝে ফাঁকা মাঠের মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল গৌরাঙ্গের রক্তাক্ত দেহ। সে রাতেই অভিযোগের তির ঘুরে গিয়েছিল যার দিকে, পেশায় সে কান্দি থানার সিভিক ভলান্টিয়ার। বুধবার, পাশের গ্রামে মারুরো থেকে সুখেন পাল নামে ওই যুবককে ধরে পুলিশ।

খোঁজ চেলেছে সুখেনের বাবা অক্ষয়, ভাই শিশির এবং জামাইবাবু অরুণ ঘোষের। অরুণ রুদ্রবাটি গ্রামে গৌরাঙ্গের পড়শি। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সুখেনকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তার পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই ঘটনায় রাজনীতির সরাসরি যোগ নেই। ২০১৫ সালে কালীপুজোর সময় মারুরো গ্রামের একদল যুবক প্রতিমা বিসর্জন করার সময় রুদ্রবাটি গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে অশান্তিতে জড়িয়েছিল। কথা কাটাকাটি ক্রমে গড়িয়ে ছিল হাতাহাতিতে। দু’পক্ষের সেই হানাহানিতে মারা গিয়েছিলেন মারুরো গ্রামের বিপ্লব পাল (১৯)। ওই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ছিল গৌরাঙ্গ। গ্রেফতার হওয়ার পরে বছরখানেক আগে জামিনে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। তারপর থেকেই গৌরাঙ্গকে হুমকি দেওয়া শুরু হয় বলে তাঁর পরিবারের দাবি। বছরখানেক আগে তাকে বোমা মেরে খুনেরও চেষ্টা হয়েছিল। সে যাত্রায় প্রাণে বেঁচে গেলেও এ বার খুব কাছ থেকেই তার উপরে প্রথমে বোমা মারা হয়। তার পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে খুব কাছ থেকে মাথায় ও কানের পাশে পর পর গুলি করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা বোমা ও গুলির শব্দে ঘটনাস্থলে ছুটে গেলেও দুষ্কৃতীদের কোন সন্ধান পাননি।

গৌরাঙ্গের শ্বশুরমশাই অনন্ত বিশ্বাস বলেন, “বেশ কয়েক মাস ধরেই গৌরাঙ্গকে খুনের চেষ্টা হচ্ছে। বার বার তার উপরে আক্রমণ শানাচ্ছে দুষ্কৃতীরা।’’ গৌরাঙ্গবাবুর মামাতো ভাই সঞ্জয় মণ্ডল বলেন, “যারা আমার দাদাকে নিশংস ভাবে হত্যা করেছে পুলিশ প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করে কড়া শাস্তি না দিলে আমরা শান্তি পাব না।” এলাকার বিধায়ক অপূর্ব সরকার বলেন, “কী কারণে গৌরাঙ্গকে খুন করা হয়েছে সেটা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। তবে ওই ঘটনার সঙ্গে কোনও না কোনও রাজনৈতিক দলের মদত আছেই। না হলে এত বড় ঘটনা ঘটানোর সাহস পায় কোথা থেকে?”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Murder Case TMC Leader Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE