তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, গীতাঞ্জলি প্রকল্পের আওতায় বাড়ি তৈরির জন্য ডাহাপাড়া পঞ্চায়েত এলাকার যে ২৪ জন উপভোক্তার নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে, তাতে প্রধান ও উপ-প্রধানের পরিবারের সদস্যদের নাম রয়েছে। তেমনি দোতলা পাকা বাড়ি রয়েছে, তালিকায় নাম রয়েছে এমন উপভোক্তাদের। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক মহলে সাড়া পড়েছে।
পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা সিপিএমের দিলসাদ আলি মণ্ডল জানান, তৃণমূলের প্রধানের স্ত্রী আলো মুরারির নাম তালিকায় রয়েছে। উপ-প্রধান মৌসুমী মণ্ডলের বাবা রামজয় মণ্ডল এবং শাশুড়ি ব্রজেশ্বরী মণ্ডলের নাম রয়েছে তালিকায়। হৈদরপুর গ্রামে দু’জনেরই পাকা বাড়ি রয়েছে। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য অঙ্গুরি মুরারির স্বামী রঞ্জিত মুরারির নামও রয়েছে ঘর পাওয়ার তালিকায়। পাকা বাড়ি রয়েছে মসিউর রহমানের। কিন্তু তিনি তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য দিবাকর সরকারের ব্যবসার অংশীদার বলে ওই প্রকল্পে তাঁর নামও রয়েছে তালিকায়। দিবাকর সরকার বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত থেকে ওই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই।’’ পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের সনজিৎ সাহনি বলেন, ‘‘পরিবারের কারও নাম নেই। তালিকা তৈরিতে দুর্নীতি বা স্বজনপোষণ হয়নি। মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’’
মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) প্রদীপ বিশ্বাস জানান, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পদক্ষেপ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy