আমিরুল ইসলামের হাত থেকে পতাকা নিচ্ছে দলত্যাগীরা।-নিজস্ব চিত্র
জেলায় বিরোধীদের রক্তক্ষরণ চলছেই। বিধানসভা ভোটের মাস খানেক আগে তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী জানান, একে একে জেলার বেশিরভাগ পুরসভা তৃণমূলের দখলে আসবে। জেলা পরিষদেরও দখল নেবে তৃণমূল। তারপর থেকেই জেলায় বাম-কংগ্রেসের ভাঙন চলছেই। তৃণমূলের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই বিভিন্ন পুরসভা ও পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা বাম-কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। দিনকয়েক আগেই ধুলিয়ান পুরসভার ভাঙন ধরায় তৃণমূল। এ বার বিরোধীদের ধস নামল গ্রাম-পঞ্চায়েতেও।
সমশেরগঞ্জের দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম ও কংগ্রেসের ২২ জন সদস্য সোমবার দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। এ দিন ধুলিয়ান ডাকবাংলো মাঠে এক সভায় দলত্যাগীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন সমশেরগঞ্জের সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক তৃণমূলের আমিরুল ইসলাম। তিনপাকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান গোলাব হোসেন-সহ সিপিএমের চার জন ও কংগ্রেসের ছ’জন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে ১৮ সদস্যের পঞ্চায়েতটি কার্যত এ দিন দখলে নিল তৃণমূল। একই মঞ্চে এ দিন ১৯ সদস্যের প্রতাপগঞ্জ পঞ্চায়েতের সিপিএমের আটজন ও কংগ্রেসের চার সদস্যও তৃণমূলে যোগ দিলেন। ফলে ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের ক্ষমতায় আসা এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। সমশেরগঞ্জের ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি নুরুল খান অবশ্য বলছেন, “শাসক দল ভয় দেখিয়ে আমাদের সদস্যদের দলে টানছে। এতে আমাদের ভোট-ব্যাঙ্কে কোনও প্রভাব পড়বে না।’’ সিপিএমের ধুলিয়ান জোনাল কমিটির সদস্য মহম্মদ আজাদ জানান, পুলিশকে কাজে লাগিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে তাঁদের দলের পঞ্চায়েত সদস্যদের ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল। তারপর দলবদল করতে বাধ্য করা হচ্ছে। তৃণমূলের তরফে অবশ্য দাবি, রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উন্নয়নের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে দলে দলে জনপ্রতিনিধিরা দলে যোগ দিচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy