জঙ্গিপুরে দমকল না হওয়ার জন্য দায়ী কারা? পুরভোটের আগে নিয়েই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গেল জঙ্গিপুরে।
বৃহস্পতিবার সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য জঙ্গিপুরে দমকল কেন্দ্র তৈরি না হওয়ার জন্য দায়ী করেছেন বর্তমান রাজ্য সরকারকে। তিনি জানান, পুরসভা কয়েকটি সরকারি জমি চিহ্নিত করে তৎকালীন বামফ্রন্ট কাছে তথ্য পাঠিয়েছিল। সরকার সে প্রস্তাব গ্রহণ করে দমকল কেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদনও দেয়। কিন্তু বর্তমান রাজ্য সরকার জমি হস্তান্তরের ব্যাপারে উদ্যোগী হয়নি। সেই কারণেই জঙ্গিপুর শহরে দমকল কেন্দ্র হয়নি। মৃগাঙ্কবাবু বলেন, “দমকলের বিষয়টি দেখার কথা রাজ্য সরকারের। পুরসভার এক্ষেত্রে কোনও ভূমিকা নেই। বিরোধীরা পুর নির্বাচনের মুখে মিথ্যে অভিযোগ করে সবাইকে বিভ্রান্ত করছেন।”
তৃণমূল নেতা শেখ ফুরকান মৃগাঙ্কবাবুর এই অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানান, ৩৪ বছর রাজ্যে ছিল বাম সরকার। তারা এ ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেই জঙ্গিপুরে দমকল কেন্দ্র তৈরি হয়নি। উল্টে বাম সরকার এমন এক বিভ্রান্তিকর তথ্য লিপিবদ্ধ করে গিয়েছে যার জেরে জঙ্গিপুরে দমকল কেন্দ্র তৈরি করাই এখন বিরাট সমস্যা। কী রকম? ফুরকান বলেন, “রাজ্যের দমকল মন্ত্রীর কাছে দাবি জানাতে গিয়েছিলাম আমরা। ওই দফতরের সরকারি নথি খুলে দেখা যায় জঙ্গিপুরে দমকল কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে ২০০১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বলে তথ্য দেওয়া রয়েছে। আসলে জঙ্গিপুরের জন্য অনুমোদিত ওই দমকল কেন্দ্রটি রাতারাতি ধুলিয়ানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অথচ সরকারি নথিতে জঙ্গিপুরের কথাই লেখা রয়েছে। ফলে একই জায়গায় পুনরায় দমকল কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব সমস্যায় ফেলেছে।”
রাজ্য দমকল দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “দমকল কেন্দ্র স্থাপনের যে রূপরেখা তৈরি করা রয়েছে তাতে মুর্শিদাবাদে মোট ২৯টি দমকল কেন্দ্র স্থাপিত হবে। বর্তমানে ৩টি দমকল কেন্দ্র রয়েছে। আরও ৪টি হবে সুতি, লালবাগ, জিয়াগঞ্জ ও বেলডাঙায়। এছাড়াও গ্রামীণ ক্ষেত্রে ২২টি দমকল কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব রয়েছে। কিন্তু জঙ্গিপুরের দমকল কেন্দ্রটি যেহেতু ধুলিয়ানে হয়ে গিয়েছে। তাই তালিকায় নেই জঙ্গিপুর ও রঘুনাথগঞ্জের নাম।”
স্থানীয় কংগ্রেস কাউন্সিলার বিকাশ নন্দ বলেন, “দমকল কেন্দ্র কেন জঙ্গিপুরে গড়ে ওঠেনি, আর কেন জঙ্গিপুর ও রঘুনাথগঞ্জের নাম তালিকায় নেই তার দায় নিতে হবে বামফ্রন্ট ও তৃণমূল উভয়কেই। পুর নির্বাচনের আগে শহরের মানুষ এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বলেই এখন আসল সত্যটা বেরিয়ে পড়েছে।”
দুর্ঘটনায় মৃত্যু। ছেলের সঙ্গে মোটরবাইকে বহরমপুর যাওয়ার পথে বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হল বাবা মরজেম শেখের (৫৫)। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ সাগরদিঘি-সুতি রাজ্য সড়কের সন্তোষপুরের কাছে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃতের বাড়ি সাগরদিঘিরই গাদি ভাটুপাড়া গ্রামে। পুলিশ জানায় , বৃহস্পতিবার সকালে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি এক আত্মীয়কে দেখতে যাচ্ছিলেন পিতা-পুত্র। তখনই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy