Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

লকডাউনের রকমফেরে বিভ্রান্তি জনগণের মধ্যে

সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ী, চাকুরে থেকে চাষি, নিত্যযাত্রী থেকে বাসমালিক, ফেরিওয়ালা সকলের মনেই এই লকডাউন হাজারো প্রশ্ন তৈরি করেছে।

 লকডাউনের আগে শেষ প্রস্তুতি। ট্র্যাফিক সামলাতে ব্যস্ত সিভিক ভল্যান্টিয়ার। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

লকডাউনের আগে শেষ প্রস্তুতি। ট্র্যাফিক সামলাতে ব্যস্ত সিভিক ভল্যান্টিয়ার। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২০ ০৪:৪৬
Share: Save:

লকডাউন ঘিরে বিভ্রান্তি রয়েছে প্রচুর। ৭ অগস্ট মধ্যরাত থেকে ১৪ অগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত নদিয়ায় আটটি পুরসভা এবং বিভিন্ন পঞ্চায়েতে টানা লকডাউন ঘোষণা করতে হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। কিন্তু নবদ্বীপ, তাহেরপুর এবং বীরনগর পুরসভা এই লকডাউনের আওতায় পড়ছে না।

সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ী, চাকুরে থেকে চাষি, নিত্যযাত্রী থেকে বাসমালিক, ফেরিওয়ালা সকলের মনেই এই লকডাউন হাজারো প্রশ্ন তৈরি করেছে। বিশেষ করে পণ্য সরবরাহ নিয়ে দেখা দিচ্ছে জটিলতা। রাজ্যব্যাপী সাপ্তাহিক লকডাউনের সঙ্গে জেলার অধিকাংশ অংশে টানা সাত দিনের লকডাউন বিধির রকমফের থাকায় গুলিয়ে যাচ্ছে অনেকেরই। সবচেয়ে সমস্যায় এলাকার খুচরো থেকে পাইকারি ব্যবসায়ী মহল। রাজ্যের সাপ্তাহিক লকডাউনে ওষুধের দোকান ছাড়া সব কিছুই বন্ধ থাকে। কিন্তু জেলার লকডাউনে অনেক কিছুই খোলা থাকবে। যেমন ব্যাঙ্ক, ট্রেজারি, আদালত, সংশোধনাগার, বিদ্যুৎ দফতর ইত্যাদি। চালু থাকবে রেশন, মিড ডে মিল। বিয়ে বা শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের কাজ বিধি মেনে করা যাবে। লোকাল বাস, অটো বা টোটোর মতো কোন গণপরিবহন চলবে না। কিন্তু দূরপাল্লার বাস চলাচল করবে জেলার উপর দিয়ে যাওয়া জাতীয় সড়ক বা রাজ্য সড়ক দিয়ে। বন্ধ থাকবে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া সমস্ত বাজার ও দোকান।

নদিয়া জুড়ে যাবতীয় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বেশির ভাগ প্রধানত সরবরাহ হয় কৃষ্ণনগর অথবা রাণাঘাট থেকে। কিন্তু টানা সাত দিন ওই দুই শহরে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে, যানবাহন চলবে না। ফলে গোটা জেলার পণ্য পরিবহণের ‘চেন’ কেটে যাতে পারে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের। শহরের বাজারের উপর নির্ভর করে থাকেন গ্রামের চাষিরা এবং দুধ উৎপাদকেরা। আটটি শহরের বাজার বন্ধ হয়ে গেলে তাঁদের উৎপাদিত দ্রব্য বিক্রি হবে কোথায়?

নদিয়া ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের যুগ্ম-সম্পাদক গোকুলবিহারী সাহা বলেন, “যে সব জায়গায় লকডাউন নেই সেই শহর বা পঞ্চায়েতের মানুষের কাছে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার কোনও উপায় আমরা দেখছি না।’’ অন্য দিকে জেলা বাসমালিক সমিতির তরফে জানানো হয়েছে, কৃষ্ণনগর থেকে লোকাল কোনও রুটে বাস চলবে না। কলকাতা, বর্ধমান, বহরমপুর, দুর্গাপুর প্রভৃতি জায়গায় দূরপাল্লার বাসও চলবে না।

বাস মালিক সমিতির কার্যকরী কমিটির সদস্য অসীম দত্ত বলেন, “জাতীয় সড়ক দিয়ে আসা দূরপাল্লার বাসে যদি কোনও যাত্রী নামেন তিনি কী ভাবে শহরে পৌঁছবেন?” কৃষ্ণনগর শহরের ভিতরে প্রবেশ করতে বাসের যাত্রীদের নামতে হবে পান্থতীর্থ, পালপাড়া মোড় অথবা পিডব্লিউডি মোড়ে। সেখান থেকে কমপক্ষে পাঁচ কিলোমিটার দূরে মূল শহর। যাত্রীরা আসবেন কী করে?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE