পথে ‘বিদ্রোহী’রা।
এক দিকে স্বস্তির ছায়া অন্য দিকে অস্বস্তির।
এত দিন তাঁদের পাখির চোখ ছিল, সৌমিকক হোসেনকে পদ থেকে সরানো। এখন প্রশ্ন, সৌমিকের পরে কে?
বৃহস্পতিবার তলবি সভায় সৌমিক না আসায় বিদ্রোহী কাউন্সিলরেরা ধরে নিয়েছেন ডোমকলে সৌমিক জমানায় দাঁড়ি পড়ল। কিন্তু দলের অন্দরে তা নিয়ে ভিড় করেছে অসংখ্য প্রশ্ন। আদৌ ওই তলবি সভা থেকে পুরপ্রধানের অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় কি না, দলের মধ্যে তা নিয়েই সংশয় রয়েছে। এমনকি কাউন্সিলরদের অধিকাংশই সৌমিক-বিদায় ধরে নিলেও তা আদৌ বৈধ কি না, তা নিয়ে দলের মধ্যেও প্রশ্ন রয়েছে। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই অনেকে দলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গিয়েছে। জল্পনা চলেছে, শুভেন্দু যাঁকে মনোনয়ন দেবেন, তিনিই হবেন ডোমকলের সৌমিকের উত্তরসূরী। তবে, শুভেন্দু নিজে এ ব্যাপারে সরাসরি কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন কি না তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। এক জেলা নেতার কথায়, ‘‘নিছক সৌমিক বধ করে অভিষেকের (বন্দ্যোপাধ্যায়) সঙ্গে প্রায় মুখোমুখি লড়াইয়ে যাওয়ার কোনও কারণই নেই শুভেন্দুর। সে ক্ষেত্রে একটা বার্তা দিয়ে ফের সৌমিককেই ফিরিয়ে আনাও যে হবে না, তা হলফ করে কে বলতে পারে!’’
তবে, আড়ালে-আবডালে ডোমকলের নতুন পুরপ্রধান হিসেবে উঠে আসছে অনেকেরই নাম। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালিক জাফিকুল ইসলাম তাঁদের অন্যতম। অন্য দিকে পুরসভার উপ-পুরপ্রধান প্রদীপ চাকীও দৌড়ে আছেন বলে দাবি করছেন তাঁর অনুগামীরা।
তবে ওই অনাস্থার পর থেকেই পুরভবন জাঁকিয়ে বসেছে সৌমিক বিরোধী ১৫ জন কাউন্সিলর। অন্য দিকে সৌমিকপন্থী কাউন্সিলর বা তৃণমূল নেতাদের এ দিন শহরেই দেখা যায়নি। প্রদীপ চাকী বলেন, ‘‘আমরা শুক্রবার সকলেই উপস্থিত ছিলাম পুরভবনে। সবাই মিলে আগামী দিনের ডোমকলের উন্নয়ন নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা করেছি এবং আমাদের লক্ষ্য যে উন্নয়নের পাশাপাশি বিগত দিনের দুর্নীতিকে সামনে নিয়ে আসা তা নিয়েও পরস্পরের মধ্যে কথা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy