রাজনৈতিক সাফল্যের বিনিময়েই কি উন্নয়ন হওয়া উচিত?
এ প্রশ্ন চিরকালই ছিল। আরও একবার সে প্রশ্ন উসকে দিলেন তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি সুব্রত সাহা। রবিবার বহরমপুরে তৃণমূলের কলেজ শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপার মুর্শিদাবাদ জেলা সম্মেলন ছিল। সেখানে সুব্রত বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি আছে। তা নিয়ে আমাকে প্রায়ই বলা হয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে সাংগঠণিকভাবে আমরা কতটা দিতে পারলাম, তাও আমাদের ভেবে দেখা দরকার।’’ একই সঙ্গে সুব্রতর সংযোজন, “আমরা সাংগঠনিকভাবে মুর্শিদাবাদ থেকে তেমন কিছু দিতে পারিনি। তা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ থেকে শুরু করে পানীয় জল প্রকল্প-সহ একাধিক প্রকল্প আমাদের জেলায় দিয়েছেন।”
সাংগঠনিক প্রতিদানের ব্যাখা করতে গিয়ে সুব্রত বলেন, “২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে আমরা শুধুমাত্র সাগরদিঘি আসন দিতে পেরেছিলান। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র চারটি আসন দিতে পেরেছি।” তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি মুখ্যমন্ত্রী যে ভেবে দেখবেন বলেছেন, তাও অনুষ্ঠানে জানান তিনি। এ বিষয়ে অধ্যাপকদের মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শও দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে জেলা সফরে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। তখন আপনাদের সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।”
সুব্রতর এমন মন্তব্যের পরে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, রাজনৈতিক সাফল্য মেলেনি বলেই কি মুর্শিদাবাদে কলেজ গড়ছে না রাজ্য? এই প্রশ্নের উত্তরে সুব্রত অবশ্য বলছেন, “রাজনৈতিক প্রতিদান দেয়নি বলে বিশ্ববিদ্যালয় হয়নি এটা ঠিক নয়। মেডিক্যাল কলেজ-সহ বহু প্রকল্প রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আমাদের জেলাকে দিয়েছেন। আরও দেবেন।” তবে সভার ভিতরে রাজনৈতিক প্রতিদানের প্রসঙ্গ তুললেন কেন? সুব্রতর জবাব, “আমাদের সংগঠণকে চাঙ্গা করতে, সাংগঠনিক কথা বলেছি।” একই সঙ্গে এই প্রশ্নও উঠছে, রাজনৈতিকর সাফল্যের মাপকাঠি কি বিধানসভার আসন? কারণ, বিধানসভায় চারটির বেশি আসন না পেলেও, তৃণমূল জেলার প্রাস সব পঞ্চায়েত, পুরসভা দখল করে ফেলেছে। তা হলে, রাজনৈতিক প্রতিদানের প্রশ্নই বা উঠছে কেন? জবাব মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy