প্রতীকী ছবি
বার্নিয়ার পাঁচ জনের বাইরে এখনও পর্যন্ত কারও করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ না হলেও নদিয়ায় আইসোলেশন ওয়ার্ডে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। নতুন করে তেহট্ট এলাকার পাঁচ জনের লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এঁরা নদিয়ারই বাসিন্দা ও পরিযায়ী শ্রমিক বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।
জেলার এক কর্তার কথায়, ‘‘এখন কিন্তু ক্রমশ উপসর্গ ফুটে ওঠার সময়। যাঁরা হোম কোয়রান্টিনে আছেন তাঁদের ভিতর থেকে পজিটিভ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এই সময়ে। আক্রান্তের সংখ্যা এই সময়ে বাড়তে পারে।” সেই কারণে দ্রুত দু’টি কোভিড ১৯ হাসপাতালের পরিকাঠামো তৈরি করে রাখা শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। যাতে যে কোনও সময়ে প্রয়োজন হলে রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়। এরই মধ্যে জেলা হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে শয্যার সংখ্যা ৯২ থেকে বাড়িয়ে ১৪৫টি করা হয়েছে। জেলা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে শয্যা সংখ্যা করা হয়েছে ৬৫টি। যাতে জেলার অন্য মহকুমা বা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের অবস্থার অবনতি হলে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে এসে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা যায়।
বার্নিয়ার ১৩ জনকে ধরে এখনও পর্যন্ত জেলায় ৫৩ জনকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তার মধ্যে রবিবার নতুন করে তেহট্ট থেকে পাঁচ জন-সহ মোট ২২ জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রবিবার রাত পর্যন্ত ১৭ জনের রিপোর্ট এসেছে। পাঁচ জনের রিপোর্ট আসা বাকি রয়েছে।
গোটা জেলাতেই প্রতিদিন হোম কোয়রান্টিনের রোগীর সংখ্যা কমছে। কারণ, অনেকেরই ১৪ দিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এক দিকে যেমন হোম কোয়রান্টিনের সংখ্যা কমতে শুরু করবে তেমনই আইসোলেশন ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা থাকবে। কারণ, এখন হোম কোয়রান্টিনে থাকা ব্যক্তিদের শরীরে উপসর্গ দেখা দেওয়ার সম্ভবনা তৈরি হতে থাকবে। তাঁদের সরসরি আইসোলেশন ওয়ার্ডে নিয়ে আসা হবে। তাঁদের কারও রিপোর্ট পজিটিভ হলেই ভিড় বেড়ে যাবে কোয়রান্টিন সেন্টারে। কোনও ব্লকে অসুস্থতার খবর মিললেই কুইক রেসপন্স টিমের সদস্যেরা ছুটে যাচ্ছেন। পরীক্ষা করছেন চিকিৎসকরা। যাঁদের মধ্যে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে তাঁদের নিয়ে আসা হচ্ছে আইসোলেশন ওয়ার্ডে। রবিবারও এমন একজনকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy