ফাইল চিত্র
আগেই জানা গিয়েছিল, মায়াপুরে আসা দুই বিদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন। কিন্তু তাঁরা সোয়াইন ফ্লু-তে আক্রান্ত বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
নদিয়ার স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, এমনিতেই করোনা সামলাতে প্রতি দিন রাজ্য থেকে একটার পর একটা নির্দেশিকা আসছে। সেই মোতাবেক পরিকাঠামো তৈরি করতে হচ্ছে, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সামগ্রী মজুত করতে হচ্ছে। কোনও দিকে তাকানোর ফুরসত পাওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্যে সোয়াইন ফ্লু বাড়তি বিপত্তি।
জেলার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে উৎসব চলাকালীন মায়াপুরে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নজরদারি শিবির খোলা হয়েছিল। মঙ্গলবার সেই শিবিরে জ্বর ও কাশি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন দুই বিদেশি ভক্ত— এক জন অস্ট্রেলিয়ার, অন্য জন মালয়েশিয়ার বাসিন্দা। তাঁরা নোভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত কি না জানতে তাঁদের লালারসের নমুনা বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। শুক্র ও শনিবার দু’জনেরই রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। তাতে করোনার হদিস মেলেনি।
রবিবার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাসের রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ এলেও দু’জনের ক্ষেত্রেই সোয়াইন ফ্লু-র রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ এসেছে। জেলাশাসক বিভু গোয়েল বলছেন, “ওই দুই বিদেশি সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত বলে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। সেই মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”
এ দিন পর্যন্ত নদিয়া জেলায় কোনও করোনা-আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়নি। কিন্তু মায়াপুর নিয়ে যথেষ্ট চাপে জেলা প্রশাসন। দোল উৎসবের মরসুম শেষ হয়েছে। সেই সময়ে শুধু ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত নয়, বিদেশ থেকেও বহু ভক্ত এসেছিলেন মায়াপুরে। অনেকে এখনও আছেন। ইস্কনেই বর্তমানে প্রায় পাঁচ হাজার ভক্ত বাস করছেন যার মধ্যে প্রায় এক হাজার বিদেশি— যাঁরা প্রায় ৭০ থেকে ৭৫টি দেশ থেকে এসেছেন। এ দেশে থাকা এবং বিদেশ থেকে আসা বিদেশিরা দেশীয় ভক্তদের সঙ্গেই হাজার মানুষের ভিড়ে দোল পরিক্রমা করেছেন। তাঁদের মধ্যে এই দু’জনও ছিলেন। এখন তাঁদের সোয়াইন ফ্লু সংক্রমণের খবরে স্বভাবতই চিন্তায় পড়েছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।
দুই বিদেশিকে কোনও সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়নি। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “ওঁরা ‘হোম আইসোলেশন’-এ আছেন। তাঁরা অন্য কারও সংস্পর্শ যাতে না আসেন, সেটাও দেখা হচ্ছে।” ইস্কনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, “আমাদের নিজস্ব পরিকাঠামোর মধ্যে রেখে যা করার সবই করা হচ্ছে।” সেই সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, “সবাইকেই বলছি, নিজে আতঙ্কিত হবেন না, অন্যকে আতঙ্কিত করবেন না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy