প্রতীকী ছবি
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে করোনা-আক্রান্তদের চিকিৎসায় নিযুক্ত চিকিৎসক ও নার্সদের দেহে রোগ সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে। এ ক্ষেত্রে প্রতিরোধ হিসাবে যথার্থ পোশাক বা ‘পার্সেন্যাল প্রটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট’(পিপিই)ও মাস্কের যথেষ্ট জোগানের উপর বার-বার জোর দেওয়া হচ্ছে।
নদিয়াতেও ৭টা আইসোলেশন ওয়ার্ডের পাশাপাশি দু’টি করোনা হাসপাতাল কাজ শুরু করেছে। একটি কৃষ্ণনগর এবং একটি কল্যাণীতে। জেলা স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি, তাঁদের হাতে এখন পর্যাপ্ত পরিমাণে পিপিই ও মাস্ক রয়েছে। জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তা জানান, দু’এক দিনের মধ্যে আরও বেশ কিছু পিপিই ও মাস্ক পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে স্বাস্থ্যভবন। সেটা পেয়ে গেলে তাঁরা আরও নিশ্চিন্ত হতে পারবেন।
মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলার দুই করোনা হাসপাতালে কোনও রোগী ভর্তি হননি। ৭টি আইসোলেশন ওয়ার্ডের মধ্যে চারটিতে নজরদারির জন্য সন্দেহভাজনদের রাখা হয়েছে। ফলে এখনও পর্যন্ত খুব বেশি পিপিই ও মাস্কের প্রয়োজন হচ্ছে না বলে স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি। তাঁদের কথায়, প্রতিটি আইসোলেশন ওয়ার্ডের জন্য দিনে ১০টি করে পিপিই ও মাস্কের প্রয়োজন। সেই হিসাবে জেলায় এখনও পর্যন্ত গড়ে ৩০ থেকে ৪০টি পিপিই ও মাস্কের প্রয়োজন হচ্ছে। কিন্তু পরিস্থিতি হঠাৎ করে যদি অন্যরকম হয়ে যায়? জেলার স্বাস্থ্য কর্তাদের দাবি, তাঁদের স্টকে যা আছে তা দিয়ে বেশ কিছু দিন চালিয়ে নেওয়া যাবে।
রবিবার রাতে প্রায় ৯০০ পিপিই ও ১১০০ এন-৯৫ মাস্ক নদিয়ায় পাঠানো কৃষ্ণনগরের গ্লোকাল হাসপাতালে দু’টি তলায় ১০০টি শয্যা আছে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স, চতুর্থ শ্রেণির কর্মী, সাফাইকর্মীদের জন্য দিনে ৪০টির মতো পিপিই ও মাস্কের প্রয়োজন হবে। কল্যাণীর হাসপাতাল ধরলে প্রয়োজন হবে ৮০টি। আর সাতটি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে যদি রোগী ভর্তি থাকেন তা হলে প্রয়োজন হবে ৭০টির মতো পিপিই ও মাস্ক। জেলার এক কর্তার কথায়, “যদি পরিস্থিতি খুব খারাপও হয়ে যায় তা হলেও আমাদের দিনে খুব বেশি হলে দেড়শোর মতো পিপিই ও মাস্ক প্রয়োজন হবে।”
কল্যাণীর করোনা হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসায় থাকবেন মূলত জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকেরাই। ওই হাসপাতালের সুপার অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ওই হাসপাতালের জন্যই ২০০টি এন৯৫ মাস্ক ও ৪০০টি পিপিই মজুত রাখা হয়েছে। ওখানে চিকিৎসক সহ যারাই যাবেন তাঁদের প্রত্যেককে পুরো সুরক্ষা দেওয়া হবে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘আমরা চাইছি না আক্রান্তদের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে গিয়ে কোনও চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীর দেহে রোগ সংক্রামিত হোক। তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy