প্রতীকী ছবি।
২৪ ঘণ্টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি থাকা ১০জনের মৃত্যু হল বহরমপুর মাতৃসদন হাসপাতালে। মৃতদের মধ্যে দু’জনের লালারস পরীক্ষায় রিপোর্ট ইতিমধ্যেই কোভিড পজ়িটিভ এসেছে বলে জানা গিয়েছে। এক সঙ্গে এত জনের মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জেলা স্বাস্থ্য দফতরে হইচই শুরু হয়েছে। জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কাছে মৃতদের তালিকা চেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘‘এক দিনে এত রোগীর মৃত্যু হয়েছে জানার পরে মৃতদের তালিকা সংগ্রহ করে দেখা হচ্ছে তাঁরা কবে ভর্তি হয়েছিলেন, কী উপসর্গ ছিল, কী কারণেই বা তাঁদের মৃত্যু হল।’’ তবে, মেডিক্যাল কলেজের সুপার শর্মিলা মল্লিক বলেন, ‘‘ওই ১০ জন খুব খারাপ অবস্থায় হাসাপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। মৃতদের শ্বাসকষ্ট, জ্বর ছাড়াও কো-মর্বিডিটি ছিল।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের তালিকায় মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মফিজুদ্দিন মণ্ডল থেকে শুরু করে বহরমপুরের নিয়াল্লিশপাড়ার এক বৃদ্ধ, ডোমকলের বসন্তপুরের এক বৃদ্ধা, বহরমপুরের এক যুবক, ঝাড়খন্ডের পাকুড়ের এক যুবক, শমসেরগঞ্জের এক বৃ্দ্ধ, রঘুনাথগঞ্জের এক বৃদ্ধ, বহরমপুরের উত্তরপাড়া মোড়ের এক প্রৌঢ়া, মুর্শিদাবাদ থানার নওপুকুরিয়ার এক যুবক এবং হরিহরপাড়ার তরতিপুরের এক বৃদ্ধ রয়েছেন। তাঁদের জ্বর, কাশি শ্বাসকষ্ট-সহ করোনার নানা উপসর্গ ছিল।
ইতিমধ্যে মৃতদের মধ্যে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মফিজুদ্দিন মণ্ডলের চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। একই দিনে দশ জনের মৃত্যু প্রকাশ্যে আসতেই ঘটনার তদন্তের দাবি উঠতে শুরু করেছে। জেলায় প্রতি দিন লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালে রোগীর চাপও বাড়ছে। কিন্তু সেই তুলনায় হাসপাতালে নজরদারি বা পরিষেবা বাড়েনি বলে অভিযোগ। জেলা স্বাস্থ্য দফতর মাতৃসদন পরিদর্শন করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy