—প্রতীকী চিত্র।
বিডিও মাস্ক না পরা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় ‘বিরক্ত’ হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। তাই রাস্তায় কঞ্চির বেড়া ফেলে বিক্ষোভ দেখাল তাঁর শাগরেদরা।
শনিবার দুপুরে তেহট্ট ১ ব্লকের শ্রীরামপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে রাস্তায় কয়েক জনের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন শ্রীরামপুর এলাকার তৃণমূল নেতা মন্টু হালদার। সেই সময়ে নজরদারি চালাতে আসেন তেহট্ট ১ বিডিও অচ্যুতানন্দ পাঠক। নেতা ও তাঁর সঙ্গীদের মুখে মাস্ক ছিল না। বিডিও গাড়ি থামিয়ে জানতে চান, মাস্ক পরেননি কেন।
বার্নিয়ায় পাঁচ জন ধরা পড়ার পর থেকেই লকডাউন সফল করতে তেহট্ট এলাকায় ক্রমাগত নজরদারি চালাচ্ছে ব্লক প্রশাসন। বিডিও বলেন, ‘‘এ দিন নজরদারি চালাতে কানাইনগর গ্রামের দিকে গিয়েছিলাম। শ্রীরামপুরের পথে দেখতে পাই, কয়েকজন মাস্ক না পরে দাঁড়়িয়ে আছেন। তাঁদের শুধু বলা হয়েছিল, জমায়েত করবেন না এবং মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। তাঁরা যেন তা ব্যবহার করেন।’’
এর পরেই ঝামেলা বাধে। বিডিও মাস্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলায় ‘অপমানিত’ বোধ করেন মন্টু। এর পরেই তাঁর সঙ্গীরা রাস্তায় কঞ্চির বেড়া ফেলে পথ অবরোধ করে হইচই বাধিয়ে দেয়। মন্টুর দাবি, তিনি মাঠে কাজ করে নিজের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। আচমকা গাড়ি থেকে নেমে কয়েক জন নেমে তাঁর উপরে চড়াও হয়। সেই সময়়ে তাঁর মুখে মাস্ক না থাকলেও তিনি মুখে গামছা চাপা দিয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘এর পরেও ওরা আমার উপরে চড়াও হয়! তাই আমার সঙ্গীরা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়।’’ ঘণ্টাখানেক সেই বিক্ষোভ চলে।
গোলমাল বাধার আগেই বিডিও ওই জায়গা থেকে ফিরে গিয়েছিলেন। গোলমালের খবর শুনে ফিরে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। এ প্রসঙ্গে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, ‘‘এলাকা থেেক শুনেছি, কথা কাটাকাটির জেরে একটা বিক্ষোভ হয়েছিল, পরে তা মিটে যায়। তবে সরকারি নির্দেশ সকলকে মানতেই হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy