প্রতীকী ছবি
লকডাউনে মদের দোকান বন্ধ। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে হাঁড়িয়ার দোকান খোলা থাকছে বলেই প্রশাসনের কাছে খবর। কোথাও কোথাও তাড়ির বিক্রিও শুরু হয়ে গিয়েছে। ডোমকলের গ্রামের এক তাড়ি বিক্রেতা বলেন, ‘‘গাছে এখনও ফুল আসেনি। ফুল না এলে তাড়ি জমে না। কিন্তু লোকের চাহিদা এত বেশি যে এর মধ্যেই গাছে হাঁড়ি বসাতে হচ্ছে।’’ সাধারণ ভাবে তাড়ির এক গ্লাসের দাম দশ টাকা, সেখানে এখন পঞ্চাশ টাকায় বিকোচ্ছে। আমবাগানের ‘বার’-এ চোলাই, হাঁড়িয়ার দামও হু হু করে বেড়ে গিয়েছে। আর সেখানেই উদ্বেগ বাড়়ছে প্রশাসনের।
জেলার আবগারি দফতরের এক কর্তা অমৃতলাল চৌধুরী বলেছেন, ‘‘আমরা বিভিন্ন এলাকা থেকে চোলাইয়ের কারবার নিয়ে খবর পাচ্ছি। খবর পেলেই সেই এলাকায় হানা দিচ্ছি।’’ আবগারি দফতরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, চোলাই নিয়ে সব সময়ই একটা উদ্বেগ কাজ করে। তার উপরে এখন সেটা আরও বেড়েছে। মদের দোকান বন্ধ। অনেকেই গোপনে বানানো চোলাই কিনছেন। সেক্ষেত্রে চোলাই কী দিয়ে বানানো হচ্ছে, তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। তার উপরে, যেহেতু চাহিদা রয়েছে, তাই অনেক অনভিজ্ঞও চোলাই তৈরিতে হাত দিচ্ছেন, তাতে বিপদ বাড়তে পারে। জেলা পুলিশের এক কর্তার বক্তব্য, আবগারি দফতর খবর দিলেই তাঁরা অভিযান চালাচ্ছেন। আবগারি দফতর জানাচ্ছে, মদের দোকানে প্রথম দিকে মজুত মদ দিয়ে কিছুটা লেনদেন হয়েছে। সপ্তাহখানেক থেকে মদের বিক্রি থেকে আয় শূন্য। নতুন করে মদ আসছে না। লকডাউন যতই গড়িয়েছে, আকাশছোঁয়া হয়েছে মদের দাম। বিশেষ করে দেশি মদের ভাঁড়ারে টান পড়েছে বেশ কিছুদিন থেকে। ডোমকলের এক যুবক বলছেন, ‘‘গ্রামে এখন লোক বেড়েছে। যেদিকে হাঁড়িয়ার কারবার আছে সে দিকে ভিড় বাড়ছে। সুযোগ বুঝে গ্রামের চোলাইয়ের কারবারিরা দামটা একেবারে চড়িয়ে দিয়েছে দ্বিগুণ।’’
জেলার অনেক এলাকাতেই চোলাইয়ের কারবার চলে রমরমিয়ে। তবে দেশি মদের যোগান থাকলে এই চোলাইয়ের খুব বেশি কদর থাকে না এলাকায়। কিন্তু লকডাউনের ফলে দেশি মদের আকাল পড়েছে। আর তাতেই কদর বেড়েছে চোলাই মদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy