Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
গণবণ্টন ব্যবস্থায় ভ্রুকুটি
Coronavirus

সংক্রমণের ভয়ে শূন্য ধানক্রয় কেন্দ্র

ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে মুর্শিদাবাদ। জেলা খাদ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, এমন চলতে থাকলে গণবণ্টন ব্যবস্থার উপরে অচিরেই তার প্রভাব পড়তে পারে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২০ ০৩:১৬
Share: Save:

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে গত সপ্তাহ থেকে দেশ জুড়ে লকডাউন শুরু হয়েছে।

যার প্রভাব পড়েছে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার ক্ষেত্রেও। লকডাউন চলাকালীন সরকারিভাবে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চাষিরা কেন্দ্রীয় ধান ক্রয় কেন্দ্রে ধান নিয়ে আসছেন না। যার জেরে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে মুর্শিদাবাদ। জেলা খাদ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, এমন চলতে থাকলে গণবণ্টন ব্যবস্থার উপরে অচিরেই তার প্রভাব পড়তে পারে।

মুর্শিদাবাদের জেলা খাদ্য আধিকারিক সাধনকুমার পাঠক বলেন, ‘‘সহায়ক মূল্যে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলে আগামী দিনে সমস্যা হতে পারে। তাই লকডাউন উঠলেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’

জেলা খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার ২৬টি ব্লকের জন্য ২৫টি কেন্দ্রীয় ধান ক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার জন্য সরকারি আধিকারিকেরা নিয়মিত হাজিরা দেন। কিন্তু লকডাউনের জেরে যানবাহন চলাচল বন্ধ, পাশাপাশি করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে চাষিরাও আতঙ্কিত। তাই চাষিরা ধান নিয়ে কিসান মাণ্ডিমুখী হচ্ছেন না। কৃষকেরা না আসায় ধান কেনার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, সমবায় সমিতিও শিবির করা বন্ধ রেখেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাঁরা ফের শিবির করে ধান কেনা শুরু করবে, কিন্তু তা কবে কেউ জানেন না। ফলে ধান কেনা বিশ বাঁও জলে। কপালে ভাঁজ পড়েছে গণবণ্টন ব্যবস্থায়।

জেলা খাদ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, ধান কেনার চিত্রটা সারা রাজ্যে একই। সরকারি আধিকারিকরা উপস্থিত থাকলেও ধান নিয়ে কেউ আসছেন না। সূত্রের খবর এবছর সারা রাজ্যে ৪৬ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্য মাত্রা রয়েছে। সেখানে এখনও পর্যন্ত ৩০ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে।

একই ভাবে মুর্শিদাবাদ জেলায় যেখানে সাড়ে তিন লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, সেখানে এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। সূত্রের খবর কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার ফলে কৃষকেরা যেমন অভাবী বিক্রির হাত থেকে রক্ষা পান, তেমনি সরকারও সেই ধানের চাল তৈরি করে গণবন্টন ব্যবস্থায় কাজে লাগায়। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয় এবং লকডাউনের জেরে চাষিরা ধান নিয়ে বাড়ি থেকে না বেরনোয় লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE