—নিজস্ব চিত্র
ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় স্কুল। সেই স্কুলে পরিযায়ী শ্রমিকদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধায় স্কুলে বাস হয়নি শ্রমিকদের। বাঁশ বাগানে তাঁবু খাটিয়ে থাকতে হচ্ছে তাঁদের। তেহট্ট ১ ব্লকের বেতাই ২ পঞ্চায়েতের ১৬৯ নম্বর বুথের ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র থেকে ৪ জন এবং শুক্রবার দিল্লি থেকে ২ জন পরিযায়ী শ্রমিক গ্রামে ফেরেন। বৃহস্পতিবার গ্রামের ছেলেরা ঘরে ফিরে আসছে জেনে পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ১৬৮ নম্বর বুথের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দু’টি ঘর পরিষ্কার করে কোয়রান্টিন সেন্টার বানানোর তোড়জোড় চলতে থাকে। সে খবর চাউর হতে স্কুলের আশপাশের শতাধিক গ্রামবাসী সংক্রমণের আশঙ্কায় সেন্টারটি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি করেন। স্থানীয় বাসিন্দা গোবিন্দ বিশ্বাস ও শুভঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘পরিস্থিতি এমন হয় যে, বাধ্য হয়ে লোকালয় থেকে একটু দূরে বাঁশ বাগানের মধ্যে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়।’’
পরিযায়ী শ্রমিকদের এক জন বলেন, ‘‘আমরা তো এই গ্রামেরই ছেলে। তাও এত বাধা পাব ভাবিনি। কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে একাধিক জায়গায় শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে। বলা হয়েছে, পারস্পারিক দূরত্ব বজায় রাখতে। আমরা তা অক্ষরে অক্ষরে মানছি। তবুও আমাদের বাঁশ বাগানে ঠাঁই নিতে হল। স্কুল সংলগ্ন এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় স্কুলটি হওয়ায় সংক্রমণের আশঙ্কায় গ্রামবাসীরা কোয়রান্টিন সেন্টার করতে বাধা দিয়েছেন।’’
বেতাই ২ পঞ্চায়েতের প্রধান সনজিৎ পোদ্দার বলেন, ‘‘এলাকার কিছু মানুষের বাধায় বাধ্য হয়ে শ্রমিকদের বাঁশবাগানে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ তেহট্ট মহকুমাশাসক অনীশ দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।’’ জেলাশাসক বিভু গোয়েল বলেন, ‘‘বিষয়টি জেনে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy