Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

আগুনে পুড়ে দম্পতির মৃত্যু

স্ত্রীর গায়ে আগুন লাগিয়ে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল স্বামী। কিন্তু জ্বলন্ত অবস্থায় স্ত্রী এসে স্বামীকে জড়িয়ে ধরায় দু’জনেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেলেন। বুধবার রাতে ওই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সুতির কয়াডাঙায়। এ দিন রাতে মৃগাঙ্ক দাস (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী সোমাদেবীকে (৩৮) বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করেন গ্রামবাসী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
সুতি শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ০১:০৫
Share: Save:

স্ত্রীর গায়ে আগুন লাগিয়ে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল স্বামী। কিন্তু জ্বলন্ত অবস্থায় স্ত্রী এসে স্বামীকে জড়িয়ে ধরায় দু’জনেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেলেন। বুধবার রাতে ওই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সুতির কয়াডাঙায়। এ দিন রাতে মৃগাঙ্ক দাস (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী সোমাদেবীকে (৩৮) বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করেন গ্রামবাসী। তাঁদের জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন সকালেই দু’জনেই মারা যান। একই ঘরে তাঁদের ছেলে গিরিধারী ঘুমোলেও কোনও রকমে পালিয়ে বেঁচেছে সে। পুলিশ প্রাথমিক ভাবে অস্বাবাভিক মৃত্যুর কেস রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর আঠেরো আগে কয়াডাঙার বাসিন্দা সোমাদেবীর সঙ্গে মৃগাঙ্কবাবুর বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই কয়াডাঙায় সপরিবারে থাকতে শুরু করেন তাঁরা। দোকানে দোকানে পাঁউরুটি সাপ্লাই করে কোনও রকমে সংসার চালাতেন মৃগাঙ্কবাবু। তাঁদের দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে মেয়ে বিষ্ণুপ্রিয়া ওরফে গীতা এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। গ্রামেই মামাবাড়িতে থাকত সে। অন্য দিকে, ছেলে বছর চোদ্দোর গিরিধারী তাঁদের সঙ্গেই থাকত। পুলিশের কাছে গিরিধারী জানায়, প্রায়ই বাবামায়ের মধ্যে ঝগড়া হত। এ দিন রাতেও বাবামায়ের মধ্যে ঝগড়া হচ্ছিল। তারপর রাত দুটো নাগাদ সে দেখে মৃগাঙ্কবাবু মশারির ভিতর শুয়ে থাকা স্ত্রী গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘‘মুহূর্তে মায়ের সারা শরীরে আগুন ধরে যায়। সেই অবস্থাতে মা বাবাকে জড়িয়ে ধরলে বাবার গায়েও আগুন ধরে যায়। বালতিতে জল রাখা ছিল। সেই জল ছিটিয়ে আমি আগুন নেভানোর চেষ্টা করি।’’

এ দিকে, আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রতিবেশিরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। খবর পেয়ে সোমাদেবীর বাপের বাড়ির লোকজনও যান। তবে কেউই এ দিন তাঁদের মধ্যে কী নিয়ে অশান্তির শুরু হয়েছিল তা বলতে পারেননি। মৃত মৃগাঙ্কবাবুর দাদা মধুসুদনবাবু বলেন, ‘‘প্রায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি হত। তবে অশান্তি যে এই অবস্থায় ঠেকেছে তা বুঝতে পারিনি। বুঝলে মীমাংসার চেষ্টা করতাম।’’

অপহরণের নালিশ। এক যুবককে অপহরণের অভিযোগ উঠল রানাঘাটে। পুলিশ জানিয়েছে, অপহৃতের নাম তরুণকুমার দাস। তাঁর বাড়ি বীরনগরে। বৃহস্পতিবার রেল পুলিশের আইসি সুভাষ রায় জানান, অজ্ঞাতপরিচয় যুবকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর স্ত্রী সুমিতা দাস। এ দিন সকালে কাজে যাওয়ার সময়ে রানাঘাট যান। ট্রেন থেকে নামলে কয়েক জন যুবক তাঁর পথ আটকায় বলে অভিযোগ। তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE