পুলিশ ও বামকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ জলঙ্গিতে। নিজস্ব চিত্র
সিপিএমের মিছিলকে ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল জলঙ্গিতে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে জলঙ্গি বিডিও অফিসের সামনে। সিপিএমের দাবি, পুলিশ বিনা প্ররোচনায় তাদের মিছিলে লাঠি চালায় ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। তাতে তাদের বেশ কিছু কর্মী জখম হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার পাল্টা বলেন, ‘‘গোটা ঘটনায পরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে। আমরা বুধবার আগাম মিছিলের খবর পেয়ে অতিরিক্ত জমায়েত নিয়ে সাবধান করেছিলাম ওই রাজনৈতিক দলকে। কিন্তু তারা সে কথা মানেনি। ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৬ জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছে।’’ সিপিএমের জলঙ্গি এরিয়া কমিটির সম্পাদক ইমরান হোসেন বলছেন, ‘‘একেবারে পরিকল্পিত ভাবে পুলিশ আমাদের কর্মীদের আক্রমণ করে ঝামেলা তৈরি করেছে। লাঠির ঘায়ে আমাদের অনেক কর্মী আক্রান্ত হয়েছে। ছোড়া হয়েছে কাঁদানে গ্যাস।’’
হারানো জমি ফিরে পেতে বামেরা সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকবার পথে নেমেছে। পাল্টা জবাব দিচ্ছে পুলিশও। ভাঙরেও সিপিএমের মিছিলে লাঠি চালানোর অভিযোগ ওঠে। কয়েক জন সিপিএমকর্মী জখম হন।
জলঙ্গিতেও পরিযায়ী শ্রমিকদের ভাতা তাদের কর্ম নিশ্চয়তা এবং আমপানে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ছাড়াও কারা ক্ষতিপূরণ পেয়েছে তার তালিকা প্রকাশ্যে আনা সহ একাধিক দাবি তুলে এদিন মিছিল শুরু করেছিল জলঙ্গির সিপিএম নেতৃত্ব। তাদের দুটি মিছিল দুদিক থেকে এসে জড়ো হয়েছিল জলঙ্গির জোড়তলা বিডিও অফিসের সামনে। মিছিল দেখে পুলিশ সামনে আসতেই পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেড়ে যায় সিপিএম কর্মীদের। সিপিএমের দাবি, পরিকল্পিত ভাবেই মিছিলের মধ্যে বাইরের লোক ঢুকে পুলিশকে ইট ছুড়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন জলঙ্গির সিপিএম নেতা প্রাক্তন বিধায়ক ইউনুস সরকার। তাকেও এদিন দিন সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy