Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Fee Waived

ফি মকুবের দাবি, কলেজের সামনে সড়ক রণক্ষেত্র

কলেজ এবং স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা বারোটা নাগাদ বেশ কিছু পড়ুয়া কলেজ চত্বরে এসে অধ্যক্ষের অফিসের সামনে  বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

রানাঘাট কলেজের সামনে অবরোধ থেকে পুলিশ সরাচ্ছে এক পড়ুয়াকে। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

রানাঘাট কলেজের সামনে অবরোধ থেকে পুলিশ সরাচ্ছে এক পড়ুয়াকে। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
রানাঘাট শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২০ ০২:৫৯
Share: Save:

ফি মকুবের দাবিতে সোমবার সকাল থেকে দফায় দফায় রানাঘাট কলেজে বিক্ষোভ দেখালেন কলেজের বিভিন্ন বর্ষের বেশ কিছু পড়ুয়া। তাঁদের অভিযোগ, তাঁদের সমস্যার কথা কলেজের কেউ শুনছেন না। সেই কারণে এ দিন বেলা আড়াইটে থেকে কিছু সময়ের জন্য কলেজের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন রানাঘাট কলেজের ওই পড়ুয়ারা। রাস্তার দু’দিকে সারি দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। সম্পূর্ণ ভাবে ব্যাহত হয় যান চলাচল। প্রায় আধঘণ্টা পরে পুলিশ এসে পড়ুয়াদের সরিয়ে অবরোধ তুলে দেয়।

পড়ুয়াদের অভিযোগ, জাতীয় সড়ক অবরোধ করার সময়ে পুলিশ তাঁদের উপরে লাঠিচার্জ করেছে। তাতে তাঁদের এক জন পড়ুয়া আহত হয়েছেন। তাঁর পায়ে আঘাত লেগেছে বলে জানাচ্ছেন রানাঘাট কলেজের বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা।

রানাঘাট কলেজের ওই বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা জানাচ্ছেন, লকডাউনের পর কাজ হারিয়েছে অনেক পরিবার। অনেকেরই রোজগার প্রায় বন্ধ। যে কারণে তাঁদের পরিবারের পক্ষে ছেলেমেয়ের কলেজ ফি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সেই কারণে ওই পড়ুয়ারা এ দিন কলেজের ফি মুকুবের দাবি নিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। যাতে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে, তাঁদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী হয় সরকার। তাঁদের অভিযোগ, যেহেতু কলেজ কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের সঙ্গে এ নিয়ে কোনও রকম আলোচনা করছেন না, তাই বাধ্য হয়েই পড়ুয়ারা পথ অবরোধ করেন। এক পড়ুয়া বলছেন, ‘‘অনেকেই ফি দিতে না পেরে এ দিনের বিক্ষোভে এসেছিলেন। এটাই তাঁদের অপরাধ। তাই তাঁদের মারধর করা হয়েছে।’’

চাকদহ কলেজের অধ্যক্ষ অরূপ মাইতি বলেন, “পড়ুয়াদের এ দিন আসার কথা ছিল না। আগের থেকে কিছুই জানায়নি। আমার পক্ষে ফি মকুব করা সম্ভব নয়। সেই কারণে ওঁদেরকে আবেদন জানানোর জন্য বলা হয়েছিল। শুনলাম, এ দিন পড়ুয়ারা কলেজে এসে এ দিকে-ও দিকে ঘোরাঘুরি করেছে। পরে তারা চলে যায়। কিছু ক্ষণ পরেকি জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিল পড়ুয়ারা। তবে ওই সব পড়ুয়ার জন্য কলেজের কাজের কোনও সমস্যা হয়নি।’’

কলেজ এবং স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা বারোটা নাগাদ বেশ কিছু পড়ুয়া কলেজ চত্বরে এসে অধ্যক্ষের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এ দিন অধ্যক্ষ কলেজে ছিলেন না। পরে ওই পড়ুয়ারা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন।ধানতলা থানার আড়ংঘাটার বাসিন্দা সোমা বিশ্বাস, রানাঘাট থানার হবিবপুরের বাসিন্দা দেবাশিস বিশ্বাসেরা জানাচ্ছেন, লকডাউনের পর থেকে তাঁদের পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল নয়। সেই কারণে তাঁরা কলেজের ফি মকুবের দাবি জানতে এসেছিলেন। তাঁদের কোনও কথা শোনা হয়নি। সোমা বলেন, ‘‘জাতীয় সড়ক অবরোধ করলে আমাদের লাঠিচার্জ করে উঠিয়ে দেওয়া হয়। লাঠির আঘাতে এক জন ছাত্র আহত হয়েছে।’’

পুলিশ অবশ্যই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, আচমকা রানাঘাট কলেজের কিছু পড়ুয়া জাতীয় সড়ক অবরোধ করায় অ্যাম্বুল্যান্স-সহ বিভিন্ন গাড়ি আটকে যায়। সেই কারণে তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পড়ুয়াদের উপরে কোনও রকম লাঠিচার্জ করা হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

College Ranaghat Fee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE