তল্লাশি: ডোমকলে। ছবি: সাফিউল্লা ইসলাম
জঙ্গলমহলের আকাশে তাকে বিনবিন করে ডানা ঝাপটাতে দেখা গিয়েছে, সে বছর কয়েক আগেকার ঘটনা। এ বার সেই ড্রোন-পাখির ডানা ছায়া ফেলল সীমান্তের জলা-জমি, কাঁটাতারের বেড়া, বিস্তীর্ণ পাট খেতে। অপরাধী আর পাচারকারীদের খোঁজে এ বার ড্রোনের সাহায্য নিতে হল মুর্শিদাবাদের পুলিশকে। গত কয়েক দিন ধরেই ডোমকলের কুচিয়ামোড়া এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে পাটের জমিতে খোঁজ শুরু করল পুলিশের ড্রোন।
দিন কুড়ি আগে কুচিয়ামোড়া এলাকায় খুন হয়েছিল তিন জন, কিন্তু তার পর এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে মূল অভিযুক্তদের খোঁজ মেলেনি এখনও। পুলিশের সন্দেহ পাটের জমিতে তাদের লুকিয়ে থাকাও অসম্ভব নয়। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলছেন, ‘‘খুনের ঘটনার পরে অভিযুক্তদের খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। গোপন সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে, পাটের জমিতেই ঘাঁটি গেড়ে আছে অভিযুক্তেরা।’’
মূলত পাটের মরসুম হওয়ার ফলেই এমন সমস্যায় পড়তে হয়েছে বলে দাবি পুলিশের কর্তাদের। তাঁদের দাবি, কুচিয়ামোড়া গ্রামের পাশেই বিস্তীর্ণ মাঠ, একেবারে নদিয়ার সীমান্তে জলঙ্গি নদী পর্যন্ত চলে গিয়েছে সেই পাট খেত। সমাজবিরোধীরা এখন সেখানেই আশ্রয় নিচ্ছে বলে গোপন সূত্রে খবর পাচ্ছে পুলিশ। আর তাই ড্রোনের ভরসায় খোঁজ চলেছে তাদের।
পাটের জঙ্গলে দুষ্কৃতীদের আস্তানা অবশ্য নতুন ঘটনা নয়। এর আগেও এই পাটের খেতের আড়ালে চোরা কারবার বা নির্বাচনের সময় পুলিশের চোখে ধুলো দিতে পাটের জঙ্গলে ভাড়াটে দুষ্কৃতীদের লুকিয়ে থাকার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের দাবি, এই সময়ে পাটের জমিতে ঢোকা একেবারে নিরাপদ নয়, সেখান থেকে পাল্টা গুলি চালালে বিপজ্জনক হতে পারে। তবে ড্রোন উড়িয়ে প্রাথমিক ভাবে কিছু মেলেনি বলেই দাবি পুলিশের।
তবে পুলিশ এবং এলাকার সাধারণ মানুষের দাবি, পাটের জমিতে অনেক গাছ আছে ফলে সেই গাছের তলায় কোনও ডেরা থাকলে ড্রোনের মাধ্যমে সেটা বোঝা সম্ভব নয়। ফলে একেবারে চিরুনি তল্লাশি না চালাতে পারলে পাটখেত থেকে দুষ্কৃতীদের ধরা পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। অন্য দিকে পুলিশের দাবি, ওই ভাবে তল্লাশি চালাতে গেলে এই সময়ে পাটের বড় রকমের ক্ষতি হবে চাষিদের। আর সেটা হলে অন্য সমস্যা তৈরি হবে এলাকায়। ফলে এখন উভয় সঙ্কটে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy