হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র
স্ত্রী ভেবেছিলেন, জেলে থেকে হয়তো পরিবর্তন হয়েছে স্বামীর। কিন্তু পরে বুঝলেন, ভবি ভোলার নয়!
মঙ্গলবার রাতে মদ খেয়ে বাড়িতে ঢুকেছিল তপন দাস নামে ওই ব্যক্তি। স্ত্রী সোমা প্রতিবাদ করায় তাকে অ্যাসিড ছুড়ে মারে সে। ধানতলা থানার জাফরনগর এলাকার ঘটনা। প্রসঙ্গত, স্ত্রীকে মারধরের জন্য আগেই এক বার জেল খাটতে হয়েছে তপনকে।
সোমার পাশে দাঁড়িয়েছিল তাঁর তিন বছরের মেয়ে তিতলি। অ্যাসিডে সে-ও জখম হয়েছে। মা-মেয়ে এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তপনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় দিনমজুর তপন প্রায়ই মদ খেয়ে বাড়িতে ফিরত। এ নিয়ে অশান্তি লেগেই ছিল। সোমার অভিযোগ, নানা ভাবে বোঝানো সত্বেও কোনও কথা কানে তুলত না তপন। তিনি বলেন, ‘‘কত বার বলেছি, ছেলেমেয়েরা বড় হচ্ছে। এখন আর এ ভাবে মদ খেয়ো না। এ বার সংসারেরর দিকে তাকাও, সংসারের দিকে মন দাও।’’
পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার সন্ধ্যায় তপনকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে তোলা হবে। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অ্যাসিড সে কোথা থেকে পেয়েছে, সেটা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ছয়েক আগে শান্তিপুরের বাসিন্দা সোমার সঙ্গে তপনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর মদ খাওয়া নিয়ে সোমার সঙ্গে তপনের প্রায়ই গন্ডগোল বাধত। মঙ্গলবার রাতেও একই ভাবে অশান্তি শুরু হয়েছিল। সে সময় তপন গালিগালাজ করে অ্যাসিড ছুড়ে মারে বলে অভিযোগ সোমার। এর পরেই সে পালিয়ে যায়।
সোমা বলেন, “মদ খেয়ে বাড়ি এসেছিল। বারণ করায় উত্তেজিত হয়ে আমার মুখ লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছোড়ে। আমার হাতে এবং মেয়ের গায়ে অ্যাসিড লাগে।’’ জখম অবস্থাতেই মেয়ের হাত ধরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সোমা। এলাকার কয়েক জনের সহযোগিতায় শান্তিপুরে বাপেরবাড়িতে যান তিনি। সোমা বলেন, ‘‘মায়ের সঙ্গে দেখা করে প্রথমে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যাই। সেখান থেকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy