প্রতীকী ছবি।
ছেলে এবং বৌমা নিয়মিত তাঁকে মারতেন। শেষে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেন তাঁরা। পুলিশের কাছে এই অভিযোগ জানিয়েছেন আশি বছরের এক বৃদ্ধা। তাঁর নাম নির্মলা বিশ্বাস। বাড়ি রানাঘাট থানার হবিবপুর পানপাড়া এলাকায়। শনিবার দুপুরে রানাঘাট মহিলা থানায় অভিযোগ করেছেন ওই বৃদ্ধা। বর্তমানে তিনি মেয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
নির্মলাদেবার অভিযোগ, “আমার কিছু সম্পত্তি রয়েছে। ছেলে ও বৌমা ক্রমাগত সেই সম্পত্তির আমাকে দিয়ে দিতে বলে। আমি ওদের কথায় রাজি হইনি। তাই আমাকে খুব মারত। তার পর এক দিন মেরে বাড়ি থেকে বের করে দিল। আর সইতে পাচ্ছি না।’’ তাঁর কথায়, “ওরা আমাকে ঠিকমতো খেতে দিত না। আমাকে আর কোনও দিন বাড়ি ঢুকতে দেবে না বলেও শাসানি দিয়েছে।” পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝে মাঝেই ছেলে ও বৌমার সঙ্গে বৃদ্ধার তুমুল গোলমাল হত। শনিবার সকালেও তেমন শুরু হয়। অভিযোগ, সেই সময় বৃদ্ধাকে তাঁর বৌমা মেরে টানতে-টানতে ঘর থেকে বের করে দেন। তিনি কোনও রকমে কাতরাতে কাতরাতে বাইরে আসেন। তাঁকে ওই অবস্থায় দেখে স্থানীয় বাসিন্দারাই তাঁর মেয়েকে খবর দেন। অহত ওই বৃদ্ধাকে হবিবপুর চিকিৎসাও করানো হয়। শেষে তিনি থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
রানাঘাট ১ নম্বর ব্লকের হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পানপুরে বাড়ি ওই বৃদ্ধার। তাঁর এক ছেলে এবং তিন মেয়ে। সকলেরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছেলে রতন বিশ্বাস পেশায় গাড়ির চালক। রতনের দুই ছেলে। বৃদ্ধার বড় মেয়ে মিনতি বিশ্বাস বলেন, “আমার মা আগে ছোট বোনের বাড়িতে থাকতেন। কিছুদিন হল ভাইয়ের কাছে থাকেন। ভাই মাকে খেতে দিত না। মারত। আশপাশের লোক মাকে খেতে দিত। ঘরে লাগোয়া আমার মেজো বোনের জমি রয়েছে। সেখানে মা থাকেন। সেখান থেকেও ওরা মাকে তাড়াতে চাইছে। ভাই ওই সম্পত্তি দখল করতে চাইছে। মা রাজি না -হওয়ায় মারধর করা হয়েছে। মা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আতঙ্কিত রয়েছেন। তাঁকে আমাদের বাড়িতে রেখেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy