সংযোগ: এ বার ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ সামাজিক মাধ্যমে।
এত দিন পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলি প্রচার ও জনসংযোগের প্রয়োজনে ব্যবহার করত সোশ্যাল মিডিয়াকে। এ বার থেকে নির্বাচন কমিশনও সে পথেই হাঁটবে। নির্বাচন সংক্রান্ত নানা বিষয়ে ভোটারদের সচেতন ও উৎসাহিত করতে সমাজ মাধ্যমকে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই মাফিক কাজও শুরু করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
টুইটার থেকে শুরু করে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুককেও এ বারের নির্বাচনী প্রচারে জরুরি মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করতে চলেছে তারা। সে প্রস্তুতিও চলছে জোর কদমে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই তা চালু হয়ে যাবে বলে দাবি করছেন জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তারা।
শুধু ভোটার তালিকায় নাম তোলাই নয়, একশো শতাংশ ভোটারকে বুথমুখী করাও নির্বাচন কমিশনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। সে জন্য ভোটারদের নানা ভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ভোটারদের নানা বিষয়ে সচেতন করারও দরকার পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়া সে কাজে সহায়ক হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এমনিতেই সমস্ত ভোটারের কাছে পৌঁছে যাওয়া নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আর সেটা করায় এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়া অন্যতম শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে বলেই ধারণা।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, “এই মুহূর্তে প্রায় সব বয়স, সব ধরনের মানুষ নানা ভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকেন। বিশেষ করে, তরুণ প্রজন্ম। আর এই প্রজন্মের ভোটারদের সবাইকে বুথে টেনে আনাটা সত্যিই একটা বড় চ্যালেঞ্জ।”
কী থাকবে এই সোশ্যাল মিডিয়াকে মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করা বার্তায়?
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন থেকে প্রচারের জন্য যা যা পাঠানো হবে, সে সব তো দেওয়া হবেই। পাশাপাশি, নির্বাচন সংক্রান্ত নানা বিষয় অতি সহজ ভাবে তুলে ধরা হবে ভোটারদের সমানে। যেমন, ভিভিপ্যাট কী? কী ভাবে সেটি কাজ করবে? ভোটার কার্ড ছাড়াও আর কোন কোন জিনিস নিয়ে গেলে ভোট দেওয়া যাবে? ক’টা থেকে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হবে? ভোটারেরা কোথায় অভিযোগ জানাতে পারবেন? কোনও অভিযোগ থাকলে কোন টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে জানানো যাবে? শুধু তাই নয়, ভোটারদের নানা প্রশ্নের উত্তরও দেওয়া হবে সেখানে।
তবে, সেখানে যদি কেউ আপত্তিকর কোনও কিছু পোস্ট করেন তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জেলা প্রশাসনের কর্তারা জানান।
যে ভাবেই হোক না কেন, সোশ্যাল মিডিয়াকে পুরো দমে ব্যবহার করে জনসংযোগের কাজটি সহজ করতে চাইছে নদিয়া জেলা প্রশাসন।
জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত বলছেন, “আমরা সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভোটদানে উৎসাহ বাড়াতে চাইছি। সেই মতো প্রস্তুতিও চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy