Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

১৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ নেই, ভোগান্তি

আকাশের মুখ ভার ছিল সকাল থেকেই। রাত এগারোটার পর থেকে বজ্র বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। যার জেরে মঙ্গলবার রাত ১টা থেকে বুধবার দুপুর ২টো পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন হয়ে থাকল বেলডাঙা ও লাগোয়া এলাকা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বেলডাঙা শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৭ ০২:১৮
Share: Save:

আকাশের মুখ ভার ছিল সকাল থেকেই। রাত এগারোটার পর থেকে বজ্র বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। যার জেরে মঙ্গলবার রাত ১টা থেকে বুধবার দুপুর ২টো পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন হয়ে থাকল বেলডাঙা ও লাগোয়া এলাকা। হাসপাতাল থেকে ব্যবসা, অফিসের কাজকর্ম থেকে টোটো চলাচল— সমস্যা হয়েছে সর্বত্রই। বুধবার বিকেলে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল হওয়ার পরে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে শহর।

রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, টানা প্রায় দু’ঘন্টা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির ফলে ৩৩,০০০ ভোল্টের লাইন বিকল হয়ে পড়ে। বিপত্তি বাধে সেখানেই। নওদার আমতলা ও বহরমপুরের সরবরাহ লাইনে বড় মাপের যান্ত্রিক গোলযোগ হয়। বহরমপুর থেকে যে লাইন ঢুকেছে সেটা মেরামত করে এ দিন বিকেলে বেলডাঙা শহর ও লাগোয়া এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে। কিন্তু শহরের বাইরে ও নওদার কিছু এলাকায় এ দিন সন্ধ্যাতেও বিদ্যুতের দেখা মেলেনি।

বেলডাঙার একটি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ইনভার্টার ও জেনারেটর থাকায় ওই সময়টুকু কোনও রকমে সামলে দেওয়া গিয়েছে। তবে এ দিন দুপুরে বিদ্যুৎ না এলে সমস্যা আরও বাড়ত। তবে রোগীদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ না থাকায় হাসপাতালের সব পাখা ঘোরেনি। ফলে গরমে নাকাল হতে হয়েছে তাঁদের। সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে টোটো চলাচলে। কারণ, সারারাত টোটোর ব্যাটারিতে চার্জ দেওয়ার পরেই দিনভর সেগুলো ছুটে বেড়ায় শহর জুড়ে। বেলডাঙায় প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি টোটো চলে। বুধবার সেই সংখ্যাটা ছিল হাতেগোনা। কারণ, মঙ্গলবার রাত থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় বেশির ভাগ টোটো চালক গাড়ির ব্যাটারিতে চার্জ দিতে পারেননি। ফলে যে কয়েকটি টোটো এ দিন রাস্তায় চলেছে সেগুলোতে ছিল মাত্রাছাড়া ভিড়।

স্থানীয় টোটো চালক অক্ষয় রানুর কথায়, ‘‘অন্য দিন যাত্রীর জন্য হা পিত্যেশ করে বসে থাকতে হয়। এ দিন বহু যাত্রীকেই মুখের উপরে না বলে দিতে হয়েছে।’’ শহরের বহু দফতরে বিদ্যুতের কোনও বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় চরম সমস্যা হয়েছে। বন্ধ ছিল কম্পিউটার। বেলডাঙা থানায় পাম্পে জল তোলা যায়নি। বিডিও অফিসে জেনারেটর চালিয়ে কাজ চালানো হয়েছে। মার খেয়েছে কাঠের ব্যবসা। বেলডাঙা কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির সহকারি সম্পাদক আরফাত শেখ বলেন, ‘‘বহু লোকজন এসে ঘুরে গিয়েছে। কারণ, বিদ্যুতের অভাবে কাঠ চেরাই বন্ধ ছিল।’’

বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার এক কর্তা জানান, বুধবার দুপুরের মধ্যেই বিদ্যুৎ পরিষেবা অনেকটাই স্বাভাবিক। বাকি কাজটাও রাতের মধ্যেই শেষ হবে

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Electricity outage Suffering
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE