ঘটনাস্থলে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
বোমা ফেটে উড়ে গেল টালির চাল-সহ আস্ত একটা বাড়ি। শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ সুতি থানার আহিরণ পাধোয়াপাড়ায় ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই বাড়িতে থাকা দু’জনের। আহত আরও পাঁচ।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম ফিটু শেখ (২৮) ও মহরুম শেখ (৩০)। আহতদের অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে অনুমান। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, একদল দুষ্কৃতী ওই বাড়িতে বোমা বাঁধছিল। সেই সময় হঠাৎ বোমা ফেটে এই ঘটনা ঘটে। ওই বাড়ির মালিক তায়েজুদ্দিন শেখ এবং তার তিন ছেলে-মেয়ে পালিয়ে গেলেও সুতি থানার পুলিশ তার স্ত্রী আজিজা খাতুনকে আটক করেছে। তাঁকে জেরা করছে পুলিশ।
তবে ওই এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, তায়েজুদ্দিনের সঙ্গে তার ভগ্নিপতি লক্ষ্মীপুরের সামেদ শেখের দীর্ঘদিন ধরে একটি জমি নিয়ে বিবাদ চলছে। তায়েজের দাবি, ওই জমিটি তাঁর প্রয়াত বাবাকে ভুল বুঝিয়ে নিজের নামে লিখিয়ে নিয়েছেন তার জামাইবাবু। তবে ওই জমি তায়েজের দখলেই রয়েছে। জমি দখল করতে না পেরে সম্প্রতি সেটি বিক্রির চেষ্টা শুরু করেন সামেদ। জমির সম্ভাব্য ক্রেতারা দিনকয়েক আগে ওই জমি খালি করে দেওয়ার জন্য তায়েজকে শাসিয়ে গিয়েছিল বলেও পুলিশ জানতে পেরেছে। মনে করা হচ্ছে, এরপরই তায়েজুদ্দিন দুষ্কৃতীদের সাহায্য নেয়। তার নির্দেশে ওই বাড়িতে দুষ্কৃতীরাই বোমা বাঁধছিল।
বাহারুদ্দিন শেখ নামে এক গ্রামবাসী ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, ‘‘ঘড়িতে তখন রাত ১১টা। হঠাৎ প্রচণ্ড জোরে শব্দ। আমার বাড়িটা কেঁপে উঠল। তারপর চিৎকারের শব্দ। ছুটে গিয়ে দেখি তায়েজুদ্দিনের বাড়িটা মাটিতে মিষে গিয়েছে। ওর ছেলে-মেয়ে আর স্ত্রী দূরে দাঁড়িয়ে। অন্ধকারে ঠিকমতো ঠাওর করা যাচ্ছিল না। তবে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আরও বোমা থাকতে পারে এই ভয়ে কেউ সেখানে যাইনি।’’
খবর পেয়ে রাতে পুলিশ গিয়ে দেখে, ঘটনাস্থলের কাছেই অগ্নিদগ্ধ দু’টি দেহ পড়ে রয়েছে। এদিন ঘটনাস্থলে যান জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ কাবরা ও এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে এসডিপিও বলেন, “মৃতেরা দু’জনেই দাগি দুষ্কৃতী। বাড়ির মালিককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy