তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা আসাদুল সেখ খুনের মামলায় তিন সাক্ষীকে বিরূপ ঘোষণা করলেন সরকারি আইনজীবী। বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক (দ্বিতীয় ফার্স্ট ট্র্যাক আদালত) সৌগত চক্রবর্তীর আদালতে তিন সাক্ষী রিয়ন পোদ্দার, সৌরভ ঘোষ ও বিদ্যুৎ সাহা সাক্ষ্য দেন। কিন্তু তিন জনেই এ দিন তদন্তকারী অফিসার সুব্রত ইন্দ্রকে দেওয়া আগের বয়ান অস্বীকার করায় সরকারী আইনজীবী তাদের বিরূপ ঘোষণা করলেন।
ভাকুড়ির একটি ক্লাবের সম্পাদক রিয়ন পোদ্দার, সৌরভ ঘোষ ও বিদ্যুৎ সাহা সরকারি আইনজীবী আরিফুজ্জামানের প্রশ্নের উত্তরে আদালতকে জানান, তাঁরা খুনের সময় বাড়িতেই ছিলেন। লোকমুখে জানতে পারেন আসাদুল শেখকে ভাকুড়ি ঘোষপাড়া এলাকায় খুন করা হয়েছে। একই সুরে তিন সাক্ষীর ভোলবদলের ঘটনায় সরকারি আইনজীবী তদন্তকারী অফিসারের কাছে দেওয়া পুরনো সাক্ষ্যের বয়ান দেখিয়ে বলেন ‘‘তারা তো পুলিশকে জানিয়েছিলেন, খুনের সময় তারা ভাকুড়ি অমর সঙ্ঘ ক্লাবে ক্যারম খেলছিলেন, বোমা ফাটার শব্দে ক্লাব থেকে ছুটে এসে দেখেন আসাদুল সেখ ও বাবলু সেখ রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে আছেন, দুষ্কৃতীরা ছুটে পালাচ্ছে। কিন্তু এ দিন আদালতে রিয়ন বার বার বলতে থাকে, তিনি সেই সময় ক্লাবে ছিলেন না, বাড়িতেই ছিলেন। অপর দুই সাক্ষী সৌরভ ও বিদ্যুৎও রিয়নের সুরেই সুর মেলান। সাক্ষীদের ভোলবদলের ঘটনায় আসামী পক্ষের আইনজীবী পীযুষ ঘোষ আদালতকে জানান, এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, মিথ্যা খুনের মামলায় তাঁর মক্কেল প্রাক্তন সভাধিপতি শিলাদিত্য হালদার-সহ অন্যদের ফাঁসানো হয়েছে। দু’দিনে ৫ জন সাক্ষ্য দিলেন, সকলেই বলছেন, তাঁরা কিছু জানেন না, অথচ তদন্তকারী অফিসারের রেকর্ডের সঙ্গে তাদের বয়ান কিছুই মিলছে না, তাই এই সাক্ষ্যগ্রহণ বন্ধ করা হোক। সরকারি আইনজীবী দাবি করেন ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হল, বাকিদেরও সাক্ষ্য নেওয়া হোক। বিচারক দুইপক্ষের আইনজীবীদের থামিয়ে দেন। এরপর শুক্রবার ফের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy