Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

উড়ল লাল-হলুদ পতাকা

শহরের বাসিন্দাদের একাংশের মতে, নবদ্বীপের মতো শহরে কেন এত দিন ইস্টবেঙ্গল ভক্তদের কোনও সংগঠন গড়ে ওঠেনি, সেটাই আশ্চর্যের।

মিছিল। নিজস্ব চিত্র

মিছিল। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
নবদ্বীপ শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৯ ০১:৪০
Share: Save:

মোহনবাগানের পর ইস্টবেঙ্গল। পক্ষকালের মধ্যে নবদ্বীপ শহরে ডানা মেলল বাঙালির ফুটবল গর্বের প্রতীক দু’টি ক্লাবের ‘ফ্যানস ক্লাব’।

এই বছর শতবর্ষে পা দিল ইস্টবেঙ্গল। সেই উপলক্ষে রবিবার নবদ্বীপে ‘ইস্টবেঙ্গল ফ্যানস ক্লাবের’ আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটল। ইস্টবেঙ্গল নামটির সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে দেশ ভাগের পর ছিন্নমূল উদ্বাস্তু হয়ে এপার বাংলায় চলে আসা অগণিত মানুষের আবেগ। দেশভাগের অনেক আগে সেই ১৯২০ সালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের জন্ম হলেও স্বাধীনতার পর ইস্টবেঙ্গল নামটি যেন পূর্ববঙ্গ থেকে সবছেড়ে চলে আসা মানুষের কাছে মানসিক আশ্রয় হয়ে উঠল। সেই আবেগ আজও একই ভাবে বহমান।

শহরের বাসিন্দাদের একাংশের মতে, নবদ্বীপের মতো শহরে কেন এত দিন ইস্টবেঙ্গল ভক্তদের কোনও সংগঠন গড়ে ওঠেনি, সেটাই আশ্চর্যের। প্রিয় ক্লাবের গর্বের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সেই আক্ষেপ মিটেছে। রবিবার দিনভর ইস্টবেঙ্গল ফ্যানস ক্লাব নবদ্বীপে উদযাপন করে শতবর্ষ স্মরণে নানা অনুষ্ঠান। দিনটা শুরু হয়েছিল সকালে ক্লাব পতাকা উত্তোলন, সংবর্ধনা এবং গাছ বিতরণের মধ্যে দিয়ে। বিকেলে এক বর্ণাঢ্য পদযাত্রার মধ্যে দিয়ে শেষ হয় এ দিনের উদযাপন। জীবন্ত মডেল, ট্যাবলো-সহ ক্লাব ব্যান্ড, বাংলা ঢাক, রণ পা, শতবর্ষের নানা কাটআউট এবং এক সুদীর্ঘ ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পতাকা নিয়ে নানা বয়সের ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা নবদ্বীপ পরিক্রমা করেন। শতবর্ষ ঘিরে নানা স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে নবদ্বীপের বিকেল।

রবিবার বিকেল ৫ টায় নবদ্বীপ বকুলতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয় ইস্টবেঙ্গল ফ্যানস ক্লাবের পদযাত্রা। সেখানে যোগ দেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তথা ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন খেলোয়াড় সৌমিক দে-সহ অসংখ্য অনুরাগী। খেলোয়াড় থেকে কাউন্সিলর, শিক্ষক থেকে ছাত্র মিছিলে হাঁটেন সকলেই। তার আগে সকালের অনুষ্ঠানে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পতাকা উত্তোলন করেন নবদ্বীপের বিধায়ক পুন্ডরীকাক্ষ সাহা। দুই প্রাক্তন খেলোয়াড় সৌমিক দে এবং অমিতাভ বিশ্বাসকে সংবর্ধনা দিয়ে শতবর্ষ স্মারক তুলে দেওয়া হয় ফ্যানস ক্লাবের পক্ষ থেকে। নবদ্বীপ ইস্টবেঙ্গল ফ্যানস ক্লাবের তরফে সুরজিৎ চক্রবর্তী বলেন, “আমরা গর্বিত এমন একটি দলের সমর্থক হয়ে। ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম ঐতিহ্যের নাম ইস্টবেঙ্গল। আগামী দিনে স্থানীয় খেলাধুলোয় আমরা ইতিবাচক ভূমিকা নিতে চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

East Bengal Fan Club Nabadwip
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE