নিজস্ব চিত্র
দেশ জুড়ে দাদার ভক্তসংখ্যা নেহাত কম নয়। আছে অসংখ্য ফ্যান ক্লাবও। তবুও নবদ্বীপের ভক্তেরা তাঁর কাছে বিশেষ। জন্মদিনে তাঁকে বাড়িতে না পাওয়ায় তাই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর নবদ্বীপের ভক্তদের আলাদা করে সময় দিলেন। বাড়িতে ভক্তদের সঙ্গে বসে বেশ কিছু ক্ষণ সময় কাটালেন। শুনলেন নবদ্বীপের গল্প। শেষে গুণমুগ্ধদের হাতে তুলে দিলেন কেক। সেই গোলাপি কেকের উপরে সাদা ক্রিম দিয়ে লেখা ‘টু নবদ্বীপ ফ্যানস্’।
নবদ্বীপের ভক্তদের প্রতি দাদার এই বিশেষ স্নেহের কারণ কী? শোনা যায়, নবদ্বীপের ‘সচিন-সৌরভ ফ্যান ক্লাব’এর নবদ্বীপের অন্যতম প্রধান অশোক চক্রবর্তী। বডি-পেন্ট কলকাতার মাঠে উপস্থিতির জন্য তিনি ইতিমধ্যে ক্রিকেট মহলে পরিচিত নাম। সারা দেহে ভারতের ক্রিকেট জার্সি নিখুঁত ভাবে আঁকা অশোক চক্রবর্তী এ ভাবেই গতবারে দাদার নজরে পড়ে যান। অশোক বলেন, “এ বার ৮ জুলাই দাদা জন্মদিনে ইংল্যান্ডে ছিলেন বিশ্বকাপের ধারাভাষ্য দেওয়ার জন্য। ২৩ জুলাই ওঁর বাড়ি যাই। জানতে পারি, উনি ব্যক্তিগত কাজে ফের বিদেশ গিয়েছেন।” কিছুটা হতাশ হয়েই ফিরেছিলেন অশোক এবং তাঁর দলবল। তখনও জানতেন না তাঁদের জন্য দাদার চমক অপেক্ষা করছে! দু’দিন পরেই অশোকের কাছে ফোন আসে ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়কের অফিস থেকে। ৩০ জুলাই দাদার সঙ্গে দেখা করার দিন ঠিক হয়।
নবদ্বীপ থেকে ওই দিন সাতসকালেই বেরিয়ে পড়েন অশোক, অরুণাভ, গৌতম, অনির্বাণ-সহ আট জনের দল। প্রিয় দাদার বাড়ি পৌঁছে বডি-পেন্ট করে যখন দেখা হয়, তখন প্রায় দুপুর একটা। ভক্তদের সঙ্গে খোশমেজাজে আধঘণ্টারও বেশি সময় ধরে গল্প করেন কর্মব্যস্ত সৌরভ। ভক্তদের আবদারে তোলেন ছবি।
নবদ্বীপের তরুণ শিল্পী রবীন দেবনাথের পেনসিল স্কেচ-করা সপরিবার সৌরভের ছবি ফ্রেমে বাঁধিয়ে উপহার দেওয়া হয় তাঁকে। সঙ্গে ছিল তাঁর আজীবন ক্রিকেটীয় মুহূর্তের একটি ফোটো-অ্যালবাম।
দাদার সঙ্গে সময় কাটাতে পেরে ভীষণ খুশি ওঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy