স্বজন হারিয়ে কান্না। —নিজস্ব চিত্র।
মেয়ের বিয়ের আগের রাতে খুন হয়ে গেলেন বাবা। মদ খেয়ে বিয়েবাড়িতে ঢোকা নিয়ে গোলমালের জেরে এক যুবক মত্ত অবস্থায় তাঁকে গুলি করে বলে অভিযোগ। পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।
মৃতের নাম রবিউল মণ্ডল (৫২)। বাড়ি চাপড়ার বাঙালঝি গ্রামে। শুক্রবার চড়ুইটিপি গ্রামের সিরাজুল শেখের সঙ্গে তাঁর মেয়ে মঞ্জু খাতুনের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। আত্মীয়স্বজন আগের রাতেই চলে এসেছিলেন। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ইমরান মোল্লা নামে চাপড়া বাজারের এক বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী ওই বাড়ির এক জনের সঙ্গে দেখা করতে যায়। মত্ত অবস্থায় থাকায় বাড়ির লোকজন তাকে যেতে বলেন। তখনই সে অস্ত্র বের করে মহিলাদের শাসিয়েছিল বলে অভিযোগ। বাড়ির লোকেরা চড় কষিয়ে তাকে বের করে দেয়।
রবিউলের পরিবারের অভিযোগ, খানিক বাদেই দুই সঙ্গীকে নিয়ে ফিরে এসে তেড়ে গালিগালাজ করতে থাকে ইমরান। রবিউল বেরিয়ে তাদের চলে যেতে বলেন। তর্কাতর্কি বেধে যায়। রবিউলের দুই ভাই সাহানাজ ও ইউনুসও এগিয়ে গেলে তাঁদের মাথায় পিস্তলের বাট দিয়ে মারা হয়। তাঁদের মাথা ফাটে। অন্য আত্মীয়েরা ছুটে এসে তাদের ঠেলে বের করে দেয়। বেরিয়ে যেতে-যেতেই হঠাৎ ফিরে এসে রবিউলের বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি চালিয়ে দেয় ইমরান। তিনি যখন পড়ে যাচ্ছেন, তার মধ্যেই বাট দিয়ে মুখেও মারে সে। ভয়ে কেউ আর এগোতে পারেননি। সকলের সামনে দিয়েই তিন জন পালিয়ে যায়।
রবিউলকে প্রথমে চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে ‘মৃত’ ঘোষণা করা হয়। বন্ধ হয়ে যায় মঞ্জুর বিয়ে। সাহানাজ বলেন, ‘‘এই সামান্য কারণে যে কেউ খুন করে দিতে পারে, তা ভাবতেই পারছি না।’’ শুক্রবার সকালে পুলিশ ইমরান এবং তার সঙ্গী রাজু বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে। দুপুরে কৃষ্ণনগর আদালতে তোলা হলে তাদের সাত দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের আর এক সঙ্গী দিলু শেখকে রাত পর্যন্ত ধরা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy