বিক্রিবাটা: লালগোলায় চলছে মাছ বিক্রি। নিজস্ব চিত্র
গলা চড়ছে— ‘‘থালা দেড়শো, এক থালা দেড়শো।’’
দোকানদারকে ঘিরে থিকথিকে ভিড়। কোনও মতে গলাটা ঢুকিয়ে যা দেখা গেল তা দেখে চোখ ছানাবড়া। নানা আকারের থালায় সাজানো হরেক রকমের মাছ। রুই, কাতলা, ইলিশ, ট্যাংরা, পাবদা, কুচো চিংড়ি, গলদা চিংড়ি, মৃগেল, পুঁটি, বেলে, কাজলি, রিঠা, খয়রা, রায়খয়রা, চাঁদা, ফাসা, বাচা, কাল বাউস, কাকলে, পিলপিলে আরও কত কিসিমের মাছ। কোনওটা লেপ ঝাপটাচ্ছে, কোনওটা খাবি খাচ্ছে।
পাল্লা-বাটখারায় মেপে নয়, থালায় সাজিয়ে মাছ বিক্রি হয় লালগোলা নেতাজি মোড়ে মীনভবনের সামনে, কৃষ্ণপুর-তেমাথা মোড়ে। বিকেল হলেই এ দৃশ্য চোখে পড়বেই।
জেলে প্রকাশ সরকার জানান, ভোর চারটেয় মাছ ধরতে বেরোন। দিনভর মাছ ধরে বিকালে নেতাজি মোড়ে মীনভবনের সামনে জড়ো হন। নৌকার খলুইয়ে মাছ এমন ভাবে রাখা হয় যাতে বিকালেও টাটকা থাকে। সেই মাছ থালায় সাজিয়ে রাত পর্যন্ত বিক্রি চলে। স্থানীয় কিছু যুবক সেই মাছ বিক্রি দায়িত্ব নেন। বিক্রি শেষে যা মেলে তার থেকে ‘কমিশন’ পান তাঁরা।
নানা মাছের নানা দাম। কখনও দাম থালা পিছু পঞ্চাশ, দেড়শো। কখনও তা পাঁচশোতে গিয়েও ঠেকে।
আড়ৎদারদের কাছে না গিয়ে মোড়ে থালা সাজিয়ে বসেন কেন?
উত্তরে জেলে প্রকাশ সরকার বলেন, ‘‘আড়ৎদারদের কাছে দাম পাই না। তাই বাজারে থালা সাজিয়ে বসি।’’
অন্য দিকে ক্রেতাদেরও লাভ। স্থানীয় এমএন অ্যাকাডেমি হাইস্কুলের শিক্ষক জাহাঙ্গির মিঞা বলেন, ‘‘টাটকা মাছের লোভে অনেকেই ভিড় করেন ওই বাজারে। মাছ কিছুটা সস্তায়ও মেলে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy