কোথায় দূরত্ববিধি! নেই মাস্কও। নিজস্ব চিত্র
মাছভাতের মতোই বাঙালির আত্মিক সম্পর্ক ফুটবলের সঙ্গে। জীবনের পরোয়া না করেই খালি পায়ে ফুটবল খেলে বুটপড়া লালমুখো সাহেবদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া সম্মান। সেই গর্বের সময়টা আঁকড়ে ধরেই বাঙালি অতঃপর তার আইডেনটিটি খুঁজেছিল ফুটবলের সঙ্গে।
সেই আত্মিক যোগ এমন যে এই কোভিড আবহেও সব বিধি তুচ্ছ করে গায়ে গা ঘেঁষে রীতিমতো নকআউট ফুটবল প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ল বহরমপুরের কাশিমবাজারের একদল তরুণ। যেখানে ফাঁক রইল না রেফারির বাঁশির, শোরগোলের। নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, সামাজিক দূরত্বকে লাটে তুলে ফেসকভারের তোয়াক্কা না করে বুধবার ওই নকআউট ফুটবল প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের খেলা ছিল। কাশিমবাজার বড় রাজবাড়ি সংলগ্ন মাঠে নকআউট প্রতিযোগিতার আয়োজন করে স্থানীয় ক্লাব সাবুবাগান ফুটবল কমিটি। জেলার ৮টি ফুটবল দল নিয়ে চলছিল খেলা। গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় ওই ফুটবল প্রতিযোগিতা। আগামী ৪ অক্টোবর ওই ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে। আয়োজক সংস্থার সভাপতি শেখর সরকার কোনও রাখঢাক না রেখেই বলেন, ‘‘তিন বছর ধরে ছোটরা এই প্রতিযোগিতার আয়োজন। তবে সব নিয়মই তো মানা হচ্ছে।’’ দশর্কহীন মাঠে খেলা চলছে বিশ্বের মাঠে, কিন্তু এখানে তো দর্শকাসন উপচে পড়ছে! তার কোনও সদুত্তর অবশ্য জোটেনি উদ্যোক্তাদের মুখে। প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। মুর্শিদাবাদ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক বিশ্বজিৎ ভাদুড়ি অবশ্য বলেন, ‘‘জেলার যে সব ক্লাব ডিএসএ-র অনুমোদিত নয় তারাই লুকিয়ে এমনভাবে বিভিন্ন খেলার আয়োজন করছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রশাসন পদক্ষেপ করুক আমরা এটাই চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy