শোকস্তব্ধ: রেজিনগরের দাদপুরে। ছবি: সঞ্জীব প্রামাণিক
পথ নিরাপত্তা নিয়ে প্রচারের কোনও ঘাটতি নেই। কিন্তু সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে না, তার বড় প্রমাণ হেলমেট ছাড়াই মোটরবাইক চালাতে গিয়ে দুটি পৃথক ঘটনায় চার জনের মৃত্যু। তার মধ্যে রেজিনগরের দাদপুরের তিন জন এবং হরিহরপাড়ার মালোপাড়ার
এক জন।
সোমবার দাদপুর গ্রামের শিবমন্দিরে পুজো ছিল। পুজোর প্রসাদ দিতে ওই রাতে দাদপুরের বিমল ঘোষ (৩৬), বাবুসোনা ঘোষ (৩৫) ও পল্টু প্রামানিক (৩২) মোটরবাইকে চড়ে রেজিনগরের একটি হোটেলে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে একটি শেয়ালকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার উপরে ছিটকে পড়েন তিন জন। সেই সময়ে পিছন দিক থেকে আসা একটি পণ্যবাহী লরি ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই বিমল ঘোষ মারা যান। পরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান বাবুসোনা ও পল্টু। তবে ওই তিন জনের কারও মাথায় হেলমেট চিল না বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে। অন্য একটি ঘটনায় হরিহরপাড়ার বেনেকোলা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরবাইক আরোহী রা৪স্তার ধারে একটি গাছে গিয়ে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলে মারা যান লিটন শেখ (২৫)। ওই ঘটনায় গুরুতর জখম নাসিম শেখ মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তবে গ্রামের তিন যুবকের মৃত্যুতে রেজিনগরের দাদপুরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পল্টুর স্ত্রী টুম্পা প্রামানিক বলছেন, ‘‘হেলমেট মাথায় মোটরবাইক চালাতে কত দিন বলেছি। কিন্তু সে কথা শুনলে এথ বড় ঘটনা ঘটত না। দেড় বছরের মেয়েকে মানুষ করব এখন কী ভাবে! ’’ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে বিমল ও বাবুসোনা দুধ ব্যবসায়ী ছিলেন। পল্টু ছিলেন হোটেল কর্মী। পুলিশ জানায়, ওই রাতে কোন গাড়ি ধাক্কা মেরেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy