অঙ্কুশ সরকার।
সরকারি কর্মীকে অপহরণের পরে ৮০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে বসল দুষ্কৃতীরা। গত বুধবার, মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা ২ নম্বর ব্লক অফিসে কাজ সেরে, বহরমপুরের চরমহুলা গ্রামে বাড়ি ফেরার পথে অপহৃত হন অঙ্কুর সরকার নামে ওই টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট। চার দিন পরেও পুলিশ তাঁর কোনও হদিস করতে পারেনি।
তবে অঙ্কুরের পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই তাঁর দাদার ফোনে ৮০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল অপহরণকারীরা। অঙ্কুরের দাদা অসীমবাবুর ফোনে মুক্তিপণের দাবি করার পরে ফোন কলের সূত্র ধরেও খুব বেশি এগোতে পারেনি পুলিশ। অসীম বলেন, ‘‘ভাই প্রতি দিন মোটরবাইকে যাতায়াত করে। ওই দিন রাতে বাড়ি না ফেরায় পরের দিনই থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলাম। ফোনটা এসেছিল বৃহস্পতিবার।’’ পুলিশ জানায় সম্ভবত বহরমপুর থেকে ফোন করেছিল অপহরণকারীরা। তবে পুলিশ নম্বরটি পেয়ে তদন্ত শুরু করে দেখেছে। বৃহস্পতিবার থেকেই নম্বরটি বন্ধ রয়েছে। ভগবানগোলা বিডিও অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অপহৃত অঙ্কুর ব্লকের একশো দিনের কাজ প্রকল্পে টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে কর্মরত। বিডিও তাপস হাজরা বলেন, ‘‘অফিসের অন্য কর্মীদের কাছেই শুনলাম বাড়ি ফেরার পথে অপহরণ করা হয়েছে তাঁকে।’’
কিন্তু কি করে তাঁকে অপহরণ করা হল কোথায় গেল তাঁর মোটরবাইক— এ সব প্রশ্নের কোনও উত্তর পুলিশ কিংবা তাঁর পরিবার কারও কাছেই নেই। অফিস থেকে ফেরার সময় অঙ্কুরের সঙ্গেই ছিলেন বিডিও অফিসের এক কর্মী। পুলিশ তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তবে, পুলিশের কাছে ওই সহকর্মীর দাবি, তিনি বহরমপুরে নেমে যাওয়ার পরেই যা হওয়ার হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী কিংবা সিসি টিভির ফুটেজ থেকে যেটুকু জানা যাচ্ছে— বহরমপুরের পঞ্চাননতলায় পাসপোর্ট অফিসের সামনে মোটরবাইক দাঁড় করিয়ে ছিলেন তিনি। পাশেই এটিএম কাউন্টার। সেখান থেকে তিন হাজার টাকা তুলতেও দেখেছিলেন আশপাশের লোকজন। এক পুলিশ কর্তার কথায়, ‘‘প্রত্যক্ষদর্শী কথা যদি মেনে নিই, তা হলে ওই সরকারি কর্মীকে অপহরণ করা হয়েছে পঞ্চাননতলা এবং চরমহুলা গ্রামের মাঝে।’’ অঙ্কুরের স্ত্রী পূর্মিমা বলেন, ‘‘বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ মোবাইলে শেষবার ফোন করেছিল ও। বলেছিল, আধ ঘণ্টার মধ্যেই ফিরছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy