মূল অভিযুক্ত হাসিবুল ইসলাম এখনও অধরা। কিন্তু পুলিশ ইতিমধ্যে ৪ জনকে আটক করেছে। ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তি জলঙ্গির। সোমবার বাজার বন্ধ থাকায় থমথমে ছিল জলঙ্গি। একাংশের মানুষের দাবি, রাজনৈতিক দাদা আর পুলিশের মদতে জলঙ্গিতে দাদাগিরি শুরু করেছে একদল যুবক। প্রায় সিনেমার কায়দায় এরা পাড়ায় মোটরবাইক নিয়ে মাথায় রুমাল বেধে ঘোরা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কোমরে গুঁজে চলা সকলের জানা। কিন্তু কেউ সাহস পায়নি এদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে, কারণ রাজনৈতিক দল আর পুলিশের হাত ছিল এদের মাথায়। সেলিমের মৃত্যুর পর অবশ্য, কোনও রাজনৈতিক দল এদের বিরোধী দলের লোক বলে আওয়াজ তুলেছে আর শাসক এদের ঝেড়ে ফেলার মরিয়া চেষ্টা করেছে বিরোধীদের কোর্ট বল ঠেলতে। স্থানীয় মানুষের দাবি, এদের দৌলতেই জলঙ্গি সুধীর সাহার মোড়ে মদ, গাজা, হেরোইনের আড্ডা জমে। সন্ধ্যা নামলেই ওদের দখলে যায় গোটা এলাকা। তবে সেলিমের মৃত্যুর পর ঘুম ভেঙেছে স্থানীয় মানুষের। মাইক ফুঁকে রাজনৈতিক দলগুলিকে দুরে থাকতে বলে পথে নেমেছে তারা। শনি ও রবিবার অবৈধ দোকানে চলেছে ভাঙচুর।
জলঙ্গির সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য ইমরান হোসেন। তাঁর কথায়, ‘‘জলঙ্গি থানায় স্মারকলিপি জমা দিয়েছিলাম। তাতে জলঙ্গির সুধীরসাহার মোড়ের কথা উল্লেখ করেছিলাম। তা ছাড়া পুলিশ বেশ কিছু এলাকার কথা জানতে চেয়েছিল সেইদিন। তাতেও আমরা ওই এলাকার কথা বারবার বলে ছিলাম। মদ গাঁজা আর হেরোইনের কারখানা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ওই এলাকা। কিন্তু পুলিশ যে কোনও কারণেই হোক অন্য এলাকায় হানা দিলেও ওই এলাকায় পা রাখেনি। সেই সময় উদ্যোগ নিলেও হয়ত এমন দুর্ঘটনা ঘটত না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy