— প্রতীকী ছবি।
যেখানে-সেখানে অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার মজুত করে ব্যবসা চলায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী। তেহট্ট মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় সাতটি গ্যাস বিতরণ কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। তা সত্ত্বেও অবৈধ ভাবে গ্যাস সিলিন্ডার মজুতদারিতে রাশ টানা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস চারেক আগে অবৈধ গ্যাস মজুতের অভিযোগে করিমপুর থেকে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেখান থেকে পুলিশ তিনটি ভর্তি সিলিন্ডার সহ মোট ৪৩টি সিলিন্ডার বাজেয়াপ্ত করে। তার পরেও বেশ কিছু জায়গায় আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভর্তি সিলিন্ডার মজুত করে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।
করিমপুরের এক গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটর স্মরজিৎ রায়ের কথায়, ‘‘মজুতদারদের কাছে গ্যাস কোথা থেকে আসছে জানা নেই। প্রশাসনের উচিৎ আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান একশো কেজির উপরে গ্যাস মজুত করলে এক্সপ্লোসিভ ও ফায়ার লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক। না-হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের সামনে এক শ্রেণির লোক অন্যায় ব্যবসা চললেও সবাই চুপ।’’
তেহট্ট মহকুমায় প্রায় পাঁচশোটি গ্যাস-চালিত ছোট গাড়ি চলে। অভিযোগ, নদিয়ায় একমাত্র কল্যাণী ছাড়া কোথাও গ্যাস রিফিলিং পয়েন্ট নেই। ফলে গাড়িতে জ্বালানি ভরতে জেলার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটতে হয় মানুষকে। যা কার্যত অসম্ভব হয়ে ওঠে। ফলে গ্যাসের অবৈধ ব্যবসা আরও ফুলেফেঁপে উঠছে। ইন্ডিয়ান অয়েল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে ভর্তুকি যুক্ত একটি রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ৯৮৮ টাকা এই সিলিন্ডারে এক জন গ্রাহক সিলিন্ডার-পিছু ভর্তুকি পান ৪৭২ টাকা। অনেক গ্রাহক ভর্তুকি পাওয়ার লোভে ভ্যানম্যানদের কাছে প্রায় সাড়ে আটশো টাকা দামে গ্যাস বেঁচে দেন। যদি ভ্যানম্যানরা এই গ্যাস না-কেনেন তা হলে এই অবৈধ কারবার অনেকটা কমতে পারে। বহু ওমনি ভ্যান প্রশাসনের চোখের সামনে বাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার থেকে গ্যাস ভর্তি করে। তাদের কেউ বাধা দেয় না বলে অভিযোগ। ইন্ডিয়ান অয়েলের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘অবৈধ ব্যবসার খবর এলেই প্রশাসনকে জানানো হয়। পুলিশ-প্রশাসন মজুতদারদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালায়। এলপিজি গ্যাস রিফিলিং সেন্টারের অভাব একটা বড় কারণ। আরও সেন্টার তৈরি হলেই সমস্যা মিটে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy