Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

পুরসভার বাড়ি তৃণমূলের হাতে

পন বাবুর ঘনিষ্ঠেরা এর নিন্দা করতে শুরু করেন। তাঁদের দাবি, কাউন্সিলরের সঙ্গে রেষারেষির জেরেই ত্রিদিববাবু জোর করে ঘর দখল করেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৯ ০৪:১৭
Share: Save:

পুরসভার সম্পত্তি দখল করে দলীয় কার্যালয় তৈরির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, কৃষ্ণনগর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের যে অফিস ছিল সেটাই রাতারাতি ব্যানার টাঙিয়ে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় হিসাবে দেখিয়ে দখল করে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় দলের ভিতরেই শুরু হয়েছে চাপানউতোর।

মল্লিকপাড়ার মাঠের পাশে পুরসভার জমিতে পুসভারই টাকায় তৈরি হয়েছিল কার্যালয়। সেখানে বসেই কাউন্সিলর স্বপন সাহা নাগরিক পরিষেবা দিতেন। কিন্তু গত বছর ডিসেম্বর মাসে পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে তিনি সেই ঘর তালাবন্ধ করে কর্তৃপক্ষের হাতে চাবি তুলে দিয়ে আসেন বলে তাঁর দাবি।

তার পর ঘর একই ভাবে পড়ে ছিল। কিন্তু বুধবার রাতে স্বপন সাহার বিরোধী গোষ্ঠী বলে পরিচিত ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ত্রিদিব দাস লোকজন নিয়ে সেই ঘরে ফ্লেক্স টাঙিয়ে সেটি তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় হিসাবে দখল করে নেন বলে অভিযোগ। তার পরই দলের ভিতরে এই নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়।

স্বপন বাবুর ঘনিষ্ঠেরা এর নিন্দা করতে শুরু করেন। তাঁদের দাবি, কাউন্সিলরের সঙ্গে রেষারেষির জেরেই ত্রিদিববাবু জোর করে ঘর দখল করেছেন। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ত্রিদিববাবু। তিনি বলছেন, “দখল করতে যাব কেন? লোকসভা ভোটের সময়েও তো এখান থেকে দলের কাজ হয়েছে। ভোট পরিচালনা হয়েছে। কই তখন তো কেউ কিছু বলেননি!”

কিন্তু সে যাই হোক না কেন, পুরসভার ঘর কি এ ভাবে দখল করে দলীয় কার্যালয় করা যায়? এই বিষয়ে সরাসরি উত্তর না দিয়ে তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “ওই ঘরে তো টিভি, এসি ছিল। কাউন্সিলর সেটা খুলে নিয়ে গেলেন কা ভাবে? সেটাও তা হলে পুরসভার সম্পত্তি।”

যার উত্তরে স্বপন সাহা বলছেন, “ওটা পুরসভার টাকায় কেনা হয়নি। ওগুলো ভাড়া করা হয়েছিল। আমি সেই খরচ বহন করতাম। আমার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই যাঁদের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছিলাম তাঁরা খুলে নিয়ে গিয়েছেন।” তাঁর কথায়, আমি দলের সামান্য কর্মী। যাঁরা নেতা তাঁরাই ঠিক করবেন এ ভাবে পুরসভার ঘর দলের কাজে লাগানো যায় কিনা।”

তৃণমূলের প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা প্রশাসকদের অন্যতম অসীম সাহা বলছেন, “এ রকম করা যায় না। পুরসভার সম্পত্তি কোনও রাজনৈতিক দল ব্যবহার করতে পারে না। তবে আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি ঠিক কি ঘটেছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Krishnanagar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE