প্রতীকী ছবি
মার পাল্টা মারে উত্তপ্ত হয়ে উঠল সালার ভরতপুর ২ ব্লক। রবিবার প্রথম ঘটনাটি ঘটে সালার থানার তালিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব গ্রামে, পরে ওই থানার সালার গ্রামীণ হাসপাতালে পাল্টা মারপিট হয়। ভার্চুয়াল সভার প্রচারকে ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। দলেরই উভয় পক্ষের মোট ১৬ জন তৃণমূলের নেতা ও কর্মী জখম হয়েছে।
ওই দিন সকাল থেকে ওই ব্লকের যুব তৃণমূলের সভাপতি আনারুল ইসলামের নেতৃত্বে ভরতপুর ১ ও ২ ব্লক জুড়েই তিরিশটি মোটরবাইক নিয়ে শহিদ দিবসের ভার্চুয়াল সভার প্রচার হচ্ছিল। সেই সময় সালার থানার তালিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব গ্রামের বাসিন্দা ওই অঞ্চলের যুব সভাপতি মেহেরাজ শেখ কয়েকটি মোটরবাইক নিয়ে কর্মীদের নিয়ে সালারে আসছিলেন। তখন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি রবি শেখের নেতৃত্বে একদল কর্মী মেহেরাজ ও তাঁর অনুগামীদের হুমকি দেওয়ার সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করে বলে অভিযোগ। কিন্তু তারপর মেহেরাজ সালারে চলে আসার পরে পূর্বগ্রামে মেহেরাজের ভাইয়ের দোকানে রবি ও তাঁর অনুগামীরা ভাঙচূর করে বলে অভিযোগ। উভয় পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, রবি ও তাঁর লোকজন বেধড়ক মারধর শুরু করে। ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি আনারুল ইসলাম পূর্বগ্রামে যায়। তাঁকেও বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। সালার গ্রামীণ হাসপাতালে আনারুল-সহ বারো জনের চিকিৎসা চলছে। একই ভাবে ওই দিন সালার হাসপাতালে রবি শেখ চিকিৎসা করতে যায়, সেই সময় যুব তৃণমূলের সভাপতি আনারুলের অনুগামীরা পাল্টা রবিকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় রবি-সহ চারজন তৃণমূল কর্মী গুরুত্বর জখম হন। সালার গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর রবি ও তাঁর জখম তিন অনুগামীকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে।
ঘটনার পর পুলিশ এলাকায় গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। আনারুল ইসলাম বলেন, “যুব তৃণমূলের নেতৃত্বে সালারে তৃণমূলের শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাতে তৃণমূল নেতাদের মুখোশ ক্রমশ সাধারণ মানুষের সামনে চলে আসছে। তাতেই আমাদের কে মারধর করে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। ব্লক সভাপতি আজহার উদ্দিনের নির্দেশে রবি শেখ আমাদের মারধর করেছে। পুলিশকে সব জানিয়েছি।” যদিও ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কোন সম্পর্ক নেই বলে দাবি করে ভরতপুর ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মহম্মদ আজহার উদ্দিন বলেন, “পূর্বগ্রামে একটি দোকানে চোরাই জিনিস বিক্রি হচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অপমান করার কারণে বাসিন্দারা মারধর করেছে।” জখম রবি বলেন, “আমি দলের ছেলেদের বাঁচিতে গিয়েছিলাম। ওরা আমাকে মারধর করেছে। হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলাম, সেখানে আমাকে আনারুলরা মারধর করেছে।”
পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন, “মারপিটে কয়েক জন জখম হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy